ময়মনসিংহ ছাত্রদল নেতা টর্চার সেল নিয়ে চাঞ্চল্য; স্থানীয়দের অভিযোগ, খামারের ঘরে আটকিয়ে মারধর ও চাঁদাবাজি করা হতো। ভুক্তভোগীরা বিচার দাবি করেছেন।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিজবুল আলম ওরফে জিয়েস সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আলোচনায় আসেন। ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝিয়ালি গ্রামের একটি মৎস্য খামারের ছোট ঘরে তিনজনকে আটক করে মারধর করছেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘরটি তিনি ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন এবং হিন্দি-বাংলা গান বাজিয়ে লোকজনকে নির্যাতন করতেন।
ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ও মাঝিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা মামুন সরকার জানান, স্থানীয় বাজারে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তিনি হিজবুলের হামলার শিকার হন। ৮ আগস্ট বাজারের একটি সেলুনের বিল পরিশোধ না করে উল্টো চাঁদা দাবি করেন হিজবুল এবং ব্যবসা বন্ধ করে দেন। পরে মামুন দোকান খুলে দিতে বললে, ৯ আগস্ট ফের হামলা চালান তিনি। এ ঘটনায় মামুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
তারাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, মামলার পর হিজবুলের দুই সহযোগী মো. রাফি (১৯) ও মো. আবদুল্লাহ (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিজবুলকে ধরতে অভিযান চলছে।
নির্যাতনের শিকার দিনমজুর মো. জুয়েল মিয়া, রাসেল মিয়া ও রুহুল আমিন জানান, তাদের আটক রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মারধর করা হয় এবং ৪০-৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ছাড়া পেলেও কাউকে কিছু না বলার হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, হিজবুলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দলের জন্য কলঙ্কজনক। তিনি কখনো সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় ছিলেন না এবং এসব অপকর্ম সমর্থন করা যায় না।
ঘটনাটি এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা দ্রুত হিজবুলের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।