ছাতকে আসামী ধরতে গিয়ে চোরাকারবারিদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য আহত, মহিলাসহ আটক ৬
সুনামগঞ্জের ছাতকে চোরাচালানের নিয়মিত মামলার আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুই পুলিশ সদস্যকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে চোরাকারবারি হামলাকারীরা। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত অন্তত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানাযায় গত ২৫ আগষ্ট রাত ১১ টার দিকে নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেফতার করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রোমেন মিয়া, সঙ্গীয় ফোর্স সহ ছাতক পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের টেঙ্গারগাঁও গ্রামে অভিযান চালান।
এসময় গ্রামের আলতাফ আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া আসামী ধরতে গেলে পুলিশকে বাধা প্রদান করে। এছাড়া মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে পুলিশকে হেনস্তাসহ জিম্মি করে রাখে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছান ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল আলম খান সহ পুলিশের আরেকটি দল। এতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের উপর হামলা চালায় জয়নাল মিয়া, আক্তার মিয়া, মিলন মিয়া, সাইমন মিয়াসহ তাদের পিতা মোঃ আলতাফ মিয়া এবং একই গ্রামের নুরুল হকের পুত্র মোস্তাকিন, লাল মিয়ার পুত্র মান্না সহ ৪০/৫০ জনের একটি দল।
হামলাকারীরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এএসআই সাহাব উদ্দিন ও কনেস্টেবল মোস্তাক আহমদ কে। যে কারণে পালিয়ে যায় মামলার অন্যান্য আসামীরা।
হামলায় আহত এএসআই সাহাব উদ্দিন ও কনেস্টেবল মোস্তাক আহমদ কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুরুত্বর আহত কনেস্টেবল মোস্তাক আহমদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওপর আহত এএসআই সাহাব উদ্দিন কে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ও ভর্তি দেওয়া হয়। অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরে অন্যান্য আসামীদের ধরতে রাত ২ টায় পৃথক অভিযান চালায় যৌথবাহিনী এসময় তাদেরকে না পেলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল আলম খান জানান, নিয়মিত মামলার আসামী ধরতে গেলে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এঘটনায় ৪জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।