কক্সবাজারের উখিয়ায় আন্দোলনে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া: ২৭ জনকে হেফাজত থেকে মুক্তি
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে পুলিশের লাঠিচার্জে নারীসহ কমপক্ষে ১০-১৫ জন আহত হয়ে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শহিদুল ইসলাম শামীম ও সুজন রানাসহ প্রায় ২০-২৫ জনকে উখিয়া থানা পুলিশ আটক করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া অভিযোগ করেন, পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা জানান, গত তিন মাস ধরে তারা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে তারা সড়কে নেমে আসেন। আন্দোলনকারীরা এনজিও সংস্থার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে হেফাজতে নেয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় পুলিশের ডাকে আন্দোলনের সমন্বয়ক শামীম থানায় গেলে তাকেও আটক করা হয়। পরে জিনিয়া, শামীম, নওশাদ, বোরহান, ওরমি, আব্দুল হামিদসহ মোট ২৭ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলন পুলিশ হেফাজতে নেয়ার ঘটনায় ভিন্ন আকার ধারণ করে। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয় এবং আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হয়।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের ২৫ আগস্ট কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে আন্দোলনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। বর্তমানে উখিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।