শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাগুরার মহম্মদপুরে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছি— মো: মাহবুবুর রহমান তদন্তে স্থবিরতা,  ৬ মাসেও মেলেনি প্রত্যাশার আত্মহত্যার রিপোর্ট ভোলাহাটে বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিপলেট বিতরণ সাজাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার” কোটে প্রেরণ করা হয়েছে মোহনগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত ধানের শীষে ভোট দিয়ে, বিএনপিকে জয়যুক্ত করতে হবে–মো: মাহবুবুর রহমান নড়াইলে পুলিশ সদস্যদের তিনদিন মেয়াদী নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন করলেন এসপি রবিউল ইসলাম ছাতকের ‘তারা বিলের’ মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত খুলনার বটিয়াঘাটায় দৈনিক ভোরের চেতনার সাংবাদিক এম হায়াত উদ্দিন   হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

কন্যা সন্তান জন্মের কারণে  মিষ্টির  পরিবর্তে ইট

আতাউর রহমান, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময়: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ১৬৪ সময় দেখুন

কন্যা সন্তান জন্মের পর শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বদলে ইট ও মাটির গুঁড়ো পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে এক জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটলে রোববার (১৫ জুন) এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় বড় ধনতোলার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের। সম্প্রতি আছমা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

১৫ জুন (রবিবার) সকালে মোকছেদুল ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তার শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টন তুলে দেন। কিন্তু সেটি খুলে দেখা যায়, কার্টনের ভেতরে মিষ্টির বদলে রয়েছে মাটি ও ইটের গুঁড়ো। এতে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে আছমার পরিবার।

আছমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই স্বামী বিভিন্ন সময় আমাকে নির্যাতন করতেন, টাকার জন্য চাপ দিতেন। গর্ভধারণের পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তিনি বারবার বলতেন, ছেলে হলে সুখ পাব, মেয়ে হলে দুঃখ। এখন মেয়ে হয়েছে বলে এভাবে অপমান করলেন।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোকছেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি এক কেজি মিষ্টি ও মেয়ের জন্য কিছু কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা যা বলছে, সব মিথ্যা। আমাকে হেয় করতে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে।”

এ বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ বলেন, “ঘটনাটি সরাসরি না দেখলেও স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তারা এটিকে নারীর প্রতি অবমাননা ও পারিবারিক সহিংসতার একটি জঘন্য উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল একটি পারিবারিক ঘটনা নয়, বরং কন্যাসন্তান জন্মকে ঘিরে সমাজে প্রচলিত পশ্চাৎপদ মানসিকতার প্রতিফলন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী এলাকাবাসীর।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD