সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কালিয়াকৈর কংক্রিট মিক্সার গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু বেগম খালেদা জিযার রোগ মুক্তির কামনায় বিএনপির প্রার্থী আনিসুল হকের দোয়া ও আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কয়ছর এম আহমদ এর নির্দেশনায় জগন্নাথপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল কলকলিয়া ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি ক্লাব সমিতির উদ্যোগে সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের শিকার বাবুল মিয়া খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নাসিরনগরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত ঢাকা–১৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু ভাইয়ের সমর্থনে লিফলেট বিতরণে মাঠে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হিমেল জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিটি প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাইদুল ইসলাম বহিষ্কার নাগরপুরে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এর বৃত্তি পরিক্ষা  ২০২৫ অনুষ্ঠিত 

রাণীশংকৈলে ড্রেজারকৃত গর্তে শিশুর মৃত্যুতে মানববন্ধন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮০ সময় দেখুন

রাণীশংকৈলে ড্রেজারকৃত গর্তে শিশুর মৃত্যুতে মানববন্ধন

রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট গর্তে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মানববন্ধনটি ভণ্ডুল করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নানা চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত অল্প সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে কর্মসূচিটি সম্পন্ন হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ঠিকাদার মতিউর রহমান এবং ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের অবহেলার বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, উত্তরগাঁও এলাকার কুলিক নদীর যে অংশ থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হয়েছে, সেটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণকে বিপদমুক্ত করার আহ্বান জানান তারা।

অভিযোগ ওঠে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী নদী থেকে বালু উত্তোলন অপরাধ হলেও ইউএনও নিজেই ঠিকাদারের ড্রেজার ব্যবহার করে বালু তুলে রামরায় পুকুরে নিয়ে যান। আর সেই গর্তেই উত্তরগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শায়ান আহাম্মদ খেলাধুলা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। পরে ড্রেজার শ্রমিকরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহত শিশুর মা বিলকিস বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার সন্তানের বিনিময়ে আমি কিছু চাই না, তবে যাদের অবহেলায় সে প্রাণ হারিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

এ বিষয়ে ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনেও তিনি সাড়া দেননি।

জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইউএনওর দাবি, তিনি বৈধভাবে বালু ক্রয় করেছেন এবং ইভার ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন হয়ে থাকলে সেটি বেআইনি। এ ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD