ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: খোরশেদ আলম বলেছেন, নির্যাতন ও অবিচারের ১৭ বছর পর যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থমকে গেলো, তখন তারেক রহমান আন্দোলনের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে আবারও সু সংগঠিত করে বিএনপিসহ রাজপথে নামিয়ে দিলেন। তখন কোটা আন্দোলন এক দফা আন্দোলনে পরিণত হলো। শেখ হাসিনা পতনের পর একটা অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন করা হলো। এই সরকারের কাজ হল একটি সুষ্টু সুন্দর নির্বাচন দেওয়া। দেশে-বিদেশে আপনার অনেক সুনাম রয়েছে। কিন্তু মানুষের এই মৌলিক অধিকার নির্বাচনকে কেড়ে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ ও পালাতে বাধ্য হবেন না।
আজ শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় এর সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মো: খোরশেদ আলম বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে টেকনাফ থেকে তেতুলা পর্যন্ত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীরা সৃষ্টি হবে। তারেক রহমানের এ কর্মসূচির জন্য দলটি সু-সংগঠিত হচ্ছে। এতদিন যারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি’র পতাকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই পরীক্ষিত নেতাদের সদস্যতা নবায়ন করা হবে। যারা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া পরিবারকে ভালোবাসে তারাই সদস্য পদ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন,বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের জনগণ আর ফ্যাসিবাদী শাসন চায় না। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি মানবিক, জবাবদিহিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতিটি অন্যায়ের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
জিয়াউর রহমানের পর যখন জাতীয়তাবাদী দলের কোন নেতৃত্ব ছিল না। তখন বেগম খালেদা জিয়ার গৃহবধূ থেকে এসে দলের হাল ধরলেন। সে চিন্তা করেছে, এই জাতীয়তাবাদী দলটি নেতৃত্বের অভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। সে আপোষহীন ভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
এই নেত্রীকে বিনা বিচারে নয়টি বছর গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাকে অসুস্থ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যাকে ধানের শীষ প্রতিটা মনোনীত করবেন আমরা তার পক্ষে কাজ করে বিজয় অর্জন করব।