গোমস্তাপুরে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেলো ৮৫০জন কৃষক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি পূনর্বাসন ও প্রণোদন কর্মসূচির আওতায় বসতবাড়ি ও মাঠে শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এইসব বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাকলাইন হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির মুন্সী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. ওয়াসিম আকরাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা সুলতান আলম খান, জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. রাকিব, মো. ইব্রাহিম, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ কৃষক – কৃষাণী প্রমূখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাকলাইন হোসেন জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদন কর্মসূচির আওতায় বসতবাড়ি ও মাঠে শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের প্রান্তিক ৮৫০ জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্যেগ নেয় উপজেলা কৃষি অফিস। যেখানে বসতবাড়িতে শাক সবজি চাষের জন্যে ২৯০ কৃষক বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুঁটি, লাউ, মূলা ও বাটিশাক বীজসহ রাসায়নিক সার পাবেন। এ ছাড়া মাঠে উপযুক্ত স্থানে সবজি চাষের জন্য ৮০ জন কৃষক পাবেন, লাউ বীজসহ ১০কেজি করে ডিএপি এবং ১০কেজি এমওপি। পাশাপাশি ১৫০জন কৃষক ২০ শতাংশ জমির জন্য পাবেন, ৪০ গ্রাম হাইব্রিড বীজসহ রাসায়নিক সার।
তিনি আরো জানান, ১৬০ জন কৃষক পাবেন, ২০ শতাংশ জমির জন্য ৬০গ্রাম মিষ্টি কুমড়া বীজ ও ১০কেজি করে ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি। এছাড়াও ১৭০জন কৃষক পাবেন, ২০ শতাংশ জমির জন্য ৪০ গ্রাম হাইব্রিড শসার বীজসহ প্রত্যেককে ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার। বীজ ও সার বিতরণ শেষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির মুন্সী জানান, কৃষির প্রধান অংশ হলো বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করা, যা মানুষের খাদ্যের মূল উৎস। শীতকালীন শাক সবজি উৎপাদন করে দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা ও দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে। এসব শীতকালীন শাক সবজির বীজ যথাযথ ভবে চাষ করে নিজের পরিবারে পুষ্টি যোগবে এবং তা বাজারজাত করে অর্থনৈতিক ভাবে কৃষকরা স্বাবলম্বী হবে।