বটিয়াঘাটায় আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা ।
আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০৮ টি পূজা মন্ডপে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা । পূজাকে ঘিরে ইতিমধ্যে কুমারদের ( মৃৎশিল্পিদের) প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ভাস্কারদের রং তুলির কাজ । যা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ষষ্ঠীর পূর্বে তা পূর্ণতা পাবে ।
এ দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রতিমা তৈরির ধুম। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হতে যাওয়া দুর্গাপুজায় চারদিকে এখনই শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, ৭টি ইউনিয়নে এবছর ১০৮টি পূজামণ্ডপ প্রস্তুত হচ্ছে। এর ভিতর ৫টি পূজামন্ডপ ব্যক্তিগত ও ১০৩টি পূজামন্ডপ সার্বজনীন। উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দুর্গামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রতিমাগুলোকে কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, দড়ি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছেন মৃৎশিল্পীরা। বর্তমানে রং-তুলির আঁচড়ে মূর্ত করে তুলছেন শিল্পীরা । এরমধ্যে দুর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ , অসুর ছাড়াও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর প্রতিমা রয়েছে । এছাড়া, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন সিংহ, ময়ূর, পেঁচাসহ অন্যান্য মূর্তি সাথে রয়েছে।
উপজেলার প্রতিমা শিল্পীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, এবছর প্রতিমা তৈরির খরচ বাড়লেও মজুরী বাড়েনি। ধর্মীয় কারণে তারা প্রতিমা তৈরি করছেন। কিন্তু আর্থিকভাবে লাভ হয়নি। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে প্রতিমা তৈরিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আকার ভেদে প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে এখানকার শিল্পীরা ১৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন বলে তারা জানান। একটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১৮/২০ দিন সময় লেগে যায়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিদ্যুৎ পূজা উদযাপনে প্রশাসন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, বটিয়াঘাটায় এবার ১০৮টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর করতে পারবো। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সম্পন্ন করতে আনসার সদস্য,রেব , জেলা ও ডিবি পুলিশ, থানা , ক্যাম্পের পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের এবং টহল পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসনে আরা তান্নি বলেন, প্রত্যেক মন্দিরকে ইতিমধ্যে ৫০০ কেজি চাল সরকারি বরাদ্দ দিয়েছি । এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বুধবার থেকে আনসার সদস্যরা ১০৮ টি পুজা মন্ডপে দায়িত্ব করছে। যাতে সনাতন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্টিত হয়।