সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নাসিরনগরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত ঢাকা–১৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু ভাইয়ের সমর্থনে লিফলেট বিতরণে মাঠে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হিমেল জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিটি প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাইদুল ইসলাম বহিষ্কার নাগরপুরে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এর বৃত্তি পরিক্ষা  ২০২৫ অনুষ্ঠিত  নড়াইলে বুড়িখালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ৭ম দিশারী মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ইং অনুষ্ঠিত রহমানের নির্দেশে গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে ড. ব্যারিস্টার চৌধুরী ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী ধর্মপাশা সেলবরষ ইউনিয়নে আনিসুল হকের পক্ষে উঠান বৈঠক নাসিরনগরে যুবদল নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

নড়াইলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ময়লার ভাগাড় দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায় গ্রামবাসী

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময়: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬০ সময় দেখুন

নড়াইলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ময়লার ভাগাড়
দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায় গ্রামবাসী

নড়াইলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ময়লার ভাগাড়
দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায় গ্রামবাসী। ক্লিন নড়াইল-ড্রিম নড়াইল। এটি শহরের ময়লা-অবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রকল্পের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্রকল্পের কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। ফলে ময়লার দুর্গন্ধ পথচারীরা এখন বিরক্ত হয়ে পড়ছে। এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন। তারা ময়লা-আবর্জনা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থাপিত নড়াইল পৌরসভা। ৮০ দশকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়েছে। দেরিতে হলেও নড়াইল পৌর এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গড়ে তোলা হয় ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প। যার কাজ হলো শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করা। বি আই আর ডি (বোর্ড ফর ইন্টিগ্রেটেড রুলার ডেভেলপমেন্ট) নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে কাজটি করার জন্য দায়িত্ব দেয় নড়াইল পৌরসভা। আর এসব কাজ যৌথভাবে তদারকি করবে জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা।
নাগরিকদের প্রয়োজনের তাগিদে যে কথা সেই কাজ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকেই কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতে জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের নতুন বাস টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। বি আই আর ডি, এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করে। ময়লা-আবর্জনা বহনের জন্য ১৩টি ভ্যানগাড়ি ব্যবহার করা হয়। টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আশপাশের বাসিন্দাসহ টার্মিনালে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের রাত যাপনে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে শহরের রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজ শুরু হলে ওই গর্ত থেকে ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর সেতুর পশ্চিম পাশ বেছে নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই অবস্থা শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর এলাকায় পৌর ভাগাড় বানিয়ে সেখানে শহরের যত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ সেতুর পশ্চিম পাশে ময়লা-আবর্জনা আর পূর্বপাশে শুকরের মলমূত্রের দুর্গন্ধে কৃষি জমিতে কাজ করা যায় না। মাছের ঘেরে খাবার দিতে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনসহ খাল-বিলে মাছ মারা ও ধরা যায় না। তাদের দাবি ভাগাড় এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দিন ।
সীতারামপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘যারা এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার অনুমতি দিয়েছেন তারা হয়তো সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখেননি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমন করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় বানিয়ে দিলেন বোধগম্য হয় না।’ তিনি দাবি করেন, দ্রুত এখান থেকে ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দেবেন ।
মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, ‘এখানে ময়লার ভাগাড় করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর গ্রামের মাছের ঘেরসংলগ্ন ভাগাড় বানিয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যে কারণে এলাকাবাসীর বসবাসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে এলাকার কৃষক ও মৎস্যচাষীদের কাজ করতে চরম অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে । অন্য কোনো ফাঁকা স্থান বেছে নিয়ে সেখানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় নির্মাণে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।’
জানতে চাইলে নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না বলেন এ বিষয়ে এলাকাবাসী অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেউ কোনো আবেদন করেননি। আবেদন পেলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পার। তা ছাড়া অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে অন্যত্র ফাঁকা স্থান দেখে ভাগাড় নির্মাণে পরিকল্পনা করা হতে পারে।
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD