আজীব বিএনপি করে কি পেলাম
আমার প্রিয় নেতা জিয়ার সঙ্গে মাটি কাটলাম, কোকো মারা যাওয়ার পর তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ করেছি। হাসিনার সরকারকে উৎখাতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে যে সব ছাত্ররা মারা গিয়েছে তাদের নিমিত্তেও মসজিদে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা করেছি এমন মন্তব্য করেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তবর্তী ধরঞ্জী ইউনিয়নের পূর্ব উচনা গ্রামের মৃত দেছের শেখের ছেলে মোঃ জাহিদুল হোসেন (৬৮)। বিএনপির এ পাগল কর্মী জাহিদুল বলেন, বিএনপির সব অনুষ্ঠানে আমি অংশ গ্রহন করি কিন্তু নেতারা আমার পরিবারের খোঁজ নেয় না। আমি একজন গরীব মানুষ নিজের কোন জমি-জমা নেই। নিজের টাকায় ২’মন চাল, ডাল ও মাংসর পোলা দিয়ে কোকোর মৃত্যুর পর চল্লিশা পালন করেছি আমার বাড়িতে। খুনি হাসিনার আ’লীগের লোকের ভয়ে মসজিদের ইমাম মিলাদ পর্যন্ত পড়াতে আসেনি বাধ্য হয়ে অন্য জায়গা থেকে মুন্সীকে আনতে হয়েছে। তবে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্রদের মিলাদে এলাকার লোক বিএনপির নেতাকর্মী ও মসজিদের ইমাম সবাই ছিল।
জিয়ার আদর্শের সৈনিক জাহিদুল আক্ষেপ করে বলেন, বিএনপির জন্য অভাবের সংসার হওয়া সত্ত্বেও এসব করি দলকে ভালোবাসি এজন্য। আর এসব করার জন্য আমার স্ত্রী সাজেদা বিবি (৬৩) ও ছেলে বকাঝকা করে। তিনি আরো বলেন স্ত্রী ও ছেলে রাগ করলেও আমার মত তাঁরাও বিএনপি করে এবং দলকে ভালোবাসে। আমার বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর ও স্ত্রীর বয়স ৬০ বছরের অধিক। বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বহুবার বলেছি আজ পর্যন্ত কার্ড হয়নি। বাড়ির সাথেই ছোট্ট একটি দোকানের আয় দিয়ে বিএনপির এ কর্মীর সংসার কোন রকমে চলে। শেষ বয়সে বয়স্ক ভাতার একটা কার্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভারত সীমান্ত ঘেঁষা বিএনপিপন্থী পরিবারটি।