তিনি বলেন, ইসলামের শিক্ষা হলো জ্ঞান প্রচার, সত্যের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ এবং মিথ্যা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকা। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে যদি সততা, নৈতিকতা ও কল্যাণকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যায়, তবে এটি মানবতার কল্যাণে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠবে।
শনিবার সকালে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— “মহানবী (সা.) এর শিক্ষার আলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক ব্যবহারে শিখন ও প্রশিক্ষণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বব্যাপী একটি প্রভাবশালী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এটি মানুষের চিন্তা-চেতনা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধে গভীর প্রভাব ফেলছে। সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে সোশ্যাল মিডিয়া জ্ঞানচর্চা, দ্বীনি দাওয়াত, ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। তবে এর অপব্যবহার সমাজে গুজব, ভ্রান্ত মতবাদ, অশ্লীলতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের জন্ম দিতে পারে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল মন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন দারিদ্র্য দূরীকরণ মন্ত্রী ইমরান শাহ, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতির ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও শরীয়াহ কোর্টের প্রধান বিচারপতি শায়খ মাহমুদ সিদক, বাহরাইনের শরীয়াহ শুরা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ আদিল আবদুর রহমান, মিশরের দারুল ইফতার সচিব শায়খ আবদুল হামিদ রাগীবসহ অন্যান্য অতিথিরা।