বীরগঞ্জে কে এই রফিকুল ইসলাম? জাল সার্টিফিকেটে ২৩ বছরের শিক্ষক.
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ কবিরাজহাট আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ২১ বছর যাবত ১০০২৩৫৮ নম্বর ইনডেক্সধারী জীববিদ্যা বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি করছেন রফিকুল ইসলাম।
বিএড জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এবং চাতুরতার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি টেম্পারিং করে নিয়ম বহির্ভূত উচ্চতর স্কেলে বেতন নেয়ায় অডিট আপত্তিতে অতিরিক্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে ফেরত দিয়ে চালান কপি মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সার্টিফিকেট জালিয়াতির অপরাধে চাকুরীচ্যুৎ করা সহ দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে গৃহীত বেতন ভাতার সমুদয় টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নিতে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার (মাধ্যমিক) এবং উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে প্রাপ্তী স্বীকার সাপেক্ষে অভিযোগ করেছেন ছাত্রী অভিভাবক আনোয়ার হোসেন।
অভিযোগকারী জানান সহঃ শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দাখিল করা (রংপুর টিটিসি) বিএড সার্টিফিকেট ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ, যার রোল-৬১৪৪৮৭. রেজি: নম্বর ৯৯৪৭৩৩. ফলাফল: অকৃতকার্য।
অভিযোগ পত্রের সঙ্গে ভুয়া বিএড সার্টিফিকেটের ফটোকপি, প্রথম ও দ্বিতীয় উচ্চতর স্কেল পরিবর্তন টেম্পারিংকৃত কাগজপত্রসহ সকল ভুয়া তথ্যের প্রমান সংযুক্ত করেছেন।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বিএড ট্রেনিং করেছি তবে পাশ করতে পারি নাই, তখনকার কর্তৃপক্ষের পরামর্শেই অকৃতকার্য সাটিফিকেট দাখিল করেছি।
কবিরাজহাট আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ এসেছে।
সম্প্রতি শুনতে পাচ্ছি রফিকুল ইসলামের বিএড সার্টিফিকেট জাল এবং একজন সচেতন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট দিনাজপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।