জগন্নাথপুরে কুশিয়ারার নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি
জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে শতশত ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি। যার ফলশ্রুতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী জনসাধারণ। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বালীশ্রী গ্রামের ঘর-বাড়ী,বসতভিটা ও আবাদি ফসলি জমি জমি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রতিদিনই কুশিয়ারা নদীর নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। কৃষক পরিবার গুলো হারাচ্ছে জীবিকা, ঘরবাড়ি এবং বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন টুকুও। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কারও কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে। এতে করে ভাঙনের ভয়াল থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে অসংখ্য গ্রাম।
৬ ই আগষ্ট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে হুমকিতে পড়েছে স্কুল, মাদরাসা সহ দুই শতাধিক বসতভিটা। গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৫টি ঘরবাড়ি এবং শতাধিক বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
বালীশ্রী গ্রামের ইয়াবর মিয়া ও সুজেল মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, জমি গেল কুশিয়ারা নদীর পেটে। এর আগে নদী কেড়ে নিয়েছে আরও ১২ বিঘা জমি। এখন বসতভিটাও নেই। কীভাবে চলবে আমাদের সংসার। আল্লাহই জানেন।
একই গ্রামে আশারফ মিয়া বলেন, কুশিয়ারার নদীর ভাঙনে বালীশ্রী গ্রামের অনেক জমি চলে গেছে। বাড়িও চলে গেছে বাকি জমিগুলোও এখন হুমকির মুখে। আমাদের সংসার একসময় স্বচ্ছল ছিল। এখন রাস্তায় উঠে আসার উপক্রম।
জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক আশাফুজ্জান বাদশা বলেন, আমার এলাকায় শতাধিক বিঘা জমি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরো প্রায় ৩০০ বিঘা জমি ঝুঁকিপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু পরিদর্শনে আসছে, কিন্তু প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। অন্তত জিও ব্যাগ ফেলানো গেলে অনেক জমি রক্ষা পেতো-বলেন তিনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার সীল জানান, কুশিয়ারা নদী ভাঙনে বালীশ্রী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খবর পেয়েছি। ভাঙন রোধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।