সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নাসিরনগরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত ঢাকা–১৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু ভাইয়ের সমর্থনে লিফলেট বিতরণে মাঠে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হিমেল জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিটি প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাইদুল ইসলাম বহিষ্কার নাগরপুরে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এর বৃত্তি পরিক্ষা  ২০২৫ অনুষ্ঠিত  নড়াইলে বুড়িখালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ৭ম দিশারী মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ইং অনুষ্ঠিত রহমানের নির্দেশে গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে ড. ব্যারিস্টার চৌধুরী ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী ধর্মপাশা সেলবরষ ইউনিয়নে আনিসুল হকের পক্ষে উঠান বৈঠক নাসিরনগরে যুবদল নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেটের সময়: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২২ সময় দেখুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায়ের দিনটি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গেও মিলেমিশে যায়—এদিন ছিল তাঁর ৫৮তম বিবাহবার্ষিকী। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাবন্দি থাকা অবস্থায় মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের তত্ত্বাবধানে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। দম্পতির দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পাঁচবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০২৪ সালে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এলেও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে একই বছরের ৫ আগস্ট তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের হামলার ঘটনাও তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

সরকার পতনের পর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলাটি হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানির পর সোমবার এ রায় প্রদান করা হয়।

এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ার কারণে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের অংশবিশেষ পড়া শুরু হয় এবং দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে রায় ঘোষণা শেষ হয়।

প্রসিকিউশনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগে পাঁচটি গুরুতর অপরাধ উল্লেখ করা হয়—

১৪ জুলাই গণভবনে উসকানিমূলক বক্তব্য,

হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ,

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা,

রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যা,

আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ।

পলাতক অবস্থায় আছেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। গ্রেপ্তার একমাত্র আসামি মামুন পরে রাজসাক্ষী হয়ে অপরাধের দায় স্বীকার করেন।

যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করলেও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাদের খালাস প্রার্থনা করেন। মামুনের পক্ষ থেকেও খালাস আবেদন করা হয়।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD