তাদের দাবি—সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন প্রাঙ্গণ এক পর্যায়ে ভক্তদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আপস না সংগ্রাম?’ এবং ‘সামিরার ফাঁসি চাই’—এমন সব স্লোগানে বিচারহীনতার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিতরা।
দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বিচার না পাওয়ায় ভক্তরা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক ভক্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৩০ বছর হয়ে গেছে সালমান হত্যার বিচার চেয়েছি। সামীরা (সালমানের স্ত্রী) এত ক্ষমতাবান? সরকারের চেয়েও তার ক্ষমতা বেশি?”
তিনি মামলার আসামি সামিরার সাম্প্রতিক আগাম জামিন চেষ্টার তীব্র সমালোচনা করে আরও বলেন, “এত বছর বলছে দেশে আছি, পালাইনি। এখন পালাচ্ছে কেন? যদি নির্দোষ, তাহলে প্রমাণ দিক।”
আরেক ভক্ত মামলার তদন্তে ধীরগতিতে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “সালমানকে যে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ তো আছে। তাহলে ডলি জহুর, শাবনূরদের মতো সন্দেহভাজনদের কেন ডাকছে না তদন্তে?”
মানববন্ধনে কেবল ক্ষোভ নয়, ছিল দীর্ঘদিনের জমানো আবেগ ও হাহাকার। ১১-১২ বছর বয়স থেকে সালমান শাহের ভিউ কার্ড সংগ্রহ করা এক ভক্ত বলেন, “২৯ বছর ধরে এগুলো যত্নে রেখেছিলাম। আজ বের করেছি, যেন বিচার না পাওয়ার এই কষ্টটা সবাই বুঝতে পারে।