কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের স্বামী আমজাদ হোসেন (৫০) সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে পাটাদোয়াপাড়া গ্রামে পরকীয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতেনাতে ধরা পরেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে আমজাদ হোসেন গোপনে প্রবেশ করেন একই গ্রামের কোরবান আলীর ডির্ভোসি মেয়ে ফাতেমা আক্তার ফতে (৩৫)-এর ঘরে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘর ঘেরাও করে ফেলেন এবং দুজনকেই আটক করে ঘরে তালা লাগান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন-কে বিষয়টি অবহিত করেন। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা শেষে সামাজিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ১৫ লক্ষ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়, যা উপস্থিত সকলের সম্মতিতেই শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়।
ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন,
“আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এলাকাবাসী দুজনকে আটক করে রেখেছে। উত্তেজনা এড়াতে চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,
“এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । তবে সামাজিকভাবে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি পেয়েছে।”
এ ঘটনায় পুরো মোহনগঞ্জ এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ এটিকে নৈতিক অবক্ষয়ের নিদর্শন হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে বলছেন, স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হওয়াই ছিল সর্বোত্তম সমাধান।
আতাউর রহমান
০১৭১৬৩৪৩০৯৩