তদন্তে স্থবিরতা, ৬ মাসেও মেলেনি প্রত্যাশার আত্মহত্যার রিপোর্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার (২২) আত্মহত্যার প্রায় পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি সূত্রাপুর থানা পুলিশ।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্রাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আলমগীর হোসেন বলেন, “হাসপাতাল থেকে সুরতহাল রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। এছাড়া সিআইডি কর্তৃক প্রত্যাশার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্টও দেরিতে আসায় তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আশ্বাস দেন, সুরতহাল ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়া মাত্র দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।”
এদিকে প্রত্যাশার বাবা প্রণব মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, “আমি আশঙ্কা করছি বিবাদীপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে সুরতহাল ও তদন্ত প্রতিবেদনে কালক্ষেপণ করছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, “এত দীর্ঘ সময় লাগার কথা নয়। আমি দায়িত্বগতভাবে পুলিশকে ফোন দিয়েছি। তারা জানিয়েছে, কিছুটা সময় লাগছে, তবে দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে।”
সংগীত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ঝুমুর আহমেদ বলেন,“কয়েকদিন আগে আমি তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছিলাম। তবে পুলিশ পক্ষ থেকে তেমন কোনো স্পষ্ট তথ্য আমাকে জানানো হয়নি।”
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে একটি মেসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রত্যাশা মজুমদার। সূত্রাপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার অনুযায়ী, মো. ইয়াসিন মজুমদার (২৩) নিয়মিত তাকে উত্ত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তুললেও পরবর্তীতে ইয়াসিন মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে নানাভাবে অপমান ও মানসিকভাবে চাপে ফেলে। এর ধারাবাহিকতায় ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে মেসে ফেরার পর আবারও মানসিক চাপে পড়ে প্রত্যাশা আত্মহত্যা করেন।”