বটিয়াঘাটা জলমা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে
বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (জলমা তহশিল অফিস) নায়েব মোঃ কামরুজ্জামান’র দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে । তিনি উক্ত অফিসে দ্বিতীয় বারের মতো যোগদান করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের ন্যায্য কাজে কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি করে চালাচ্ছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ডিজিটাল স্টাইলে ঘুষ বাণিজ্য । এমনকি বিজ্ঞ ৩য় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ টাকার বিনিময়ে করছে নামজারি। উক্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার কেউ নেই । ভূমি অফিসের তহশিলদার মোঃ কামরুজ্জামান তার ঘুষ বাণিজ্য পরিচালনা করতে গড়ে তুলছেন বিশাল দালাল সাম্রাজ্য । উক্ত ঘুষ বাণিজ্য বাস্তবায়ন করেন তার ব্যক্তিগত পিএস নিত্য নামের এক ব্যক্তি। সরেজমিনে অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, জলমা ভূমি অফিসের নায়েব’র দায়িত্ব পালন তার পিএস হিসেবে খ্যাত ওই নিত্য । নামজারী কেসের রিপোর্ট দেয়া হয় টাকার বিনিময়ে । কেস বুঝে মোটা অংকের বিভিন্ন কেসের রিপোর্ট দেয়া হয়। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন মৌজা ও জমির পরিমাণ বুঝে টাকা দাবি করা হয় । খতিয়ানে ও দাগে ভিপি,ডিগ্ৰী কেসের রিপোর্টে নেয়া মোটা অংকের টাকা । অন্যদিকে অফলাইনে খাজনা আদায়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা । ইতিপূর্বে প্রথম দফায় তহশিলদার কামরুজ্জামান সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড দিয়ে সেই অপরাধে জেলও খেটেছেন । এব্যাপারে জলমা সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান-কে জিজ্ঞাসা করলে এ প্রতিবেদককে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল । একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ।এব্যাপারে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জলমার তহশিলদার মোঃ কামরুজ্জামান’র বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ।