অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি বিপিজেএফের
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই নানাবিধ নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার পান না। তাই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও পেশাগত স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (বিপিজেএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম (শাকিল) ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোমান আকন্দ এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “সারা দেশের সাংবাদিকদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা মাঠে কাজ করছি। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পার হলেও সাংবাদিক সমাজ এখনো নিরাপদ নয়, বিশেষ করে তৃণমূলের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাদের সুরক্ষায় সরকারকে এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
তারা আরও বলেন, সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, অপেশাদারদের প্রবেশ রোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি। পাশাপাশি একটি জাতীয় ডাটাবেজের মাধ্যমে দেশের সকল সাংবাদিকের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে আর কোনো সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার না হন।
বিপিজেএফের দাবিসমূহ:
১. সাংবাদিক নির্যাতন রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
২. মাধ্যমিক পর্যায় থেকে সাংবাদিকতা বিষয় চালু করা।
৩. পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলা বা মামলার ব্যয় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃক বহন করা।
৪. হরতাল, অবরোধ বা সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালনে ঝুঁকিভাতা প্রদান।
৫. উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ালে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।
৬. গত ১৫ বছরে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা তদন্ত করে বাদীদের আইনের আওতায় আনা।
৭. জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
৮. প্রতিটি গণমাধ্যমে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠন।
৯. আদালতে দোষী প্রমাণের আগে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার না করা।
১০. ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ।
বিপিজেএফ মনে করে, সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা গণতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
—