রাজিবপুরে পতিত সরকারের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোট মেরে নেওয়ার অন্যতম নায়ক কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোদালকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু আবারো পরিষদে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে জানা গেছে।
এ উপলক্ষে কোদালকাটি বাজারে কয়েকজন কর্মীকে সাথে নিয়ে শোডাউন করেছে বলে শোনা গেছে। এছাড়াও আজ শনিবার ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার জন্য এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করে তার অনুসারী ও আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীদের সংগঠিত করছে।
এর প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করেছে কোদালকাটি বাসী।পরে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান ছফের আলী,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান প্রমুখ।
জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কোদালকাটি ইউনিয়ন বিএনপির কতিপয় নেতার সহযোগিতায় পরিষদে যান ছক্কু চেয়ারম্যান। এ নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে কোদালকাটি হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির মিটিংয়ে জবাব চাওয়া হলে নেতারা জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
এরপর ৫ আগস্ট কুড়িগ্রামে ছাত্র অভ্যুত্থানে নিহত আশিক হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ নভেম্বর ২০২৪ কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বর থেকে ছক্কুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে চর রাজিবপুর থানা পুলিশ। আশিক হত্যা মামলা ছাড়াও মাছ চুরি, জামায়াতের উপজেলা অফিস ভাঙাসহ বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে তার নামে।
আশিক হত্যা মামলায় দেড় মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায় ছক্কু।
জানা যায়, সম্প্রতি হুমায়ুন কবির ছক্কু কোদালকাটিতে এসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ তার অনুসারীদের আবারো সংগঠিত করতে শুরু করে। প্রায় এক বছর অনুপস্থিত থাকার পর আবারো ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে চর রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। এজন্য কোদালকাটি সহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে লোকজন ভাড়া করে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ছক্কু চেয়ারম্যান বিগত ১৭ টি বছর বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য করেছে। কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা মেরে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। কথা বললেই অত্যাচার চালাতো সাধারন মানুষের উপর।
প্রশাসন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করলে বড় ধরনের সংঘাতের আশংকা করা হচ্ছে।
আতাউর রহমান
০১৭১৬৩৪৩০৯৩