ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দিশারী। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য রেখে গেছেন অনুপম শিক্ষা ও আদর্শ, যা যুগে যুগে প্রতিটি মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।
শনিবার সকালে জামালপুর জেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ধর্ম সচিব বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ। তিনি এসেছিলেন মানুষকে অন্ধকার থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য, ন্যায়, সমতা ও আলোর পথে পরিচালিত করতে। কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচার থেকে মুক্তি এনে সমাজকে ন্যায়ভিত্তিক রূপে গড়ে তুলেছেন তিনি। কুরআনে তাঁর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও দয়ার জন্য তাঁকে মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে প্রতিফলিত করার মধ্য দিয়েই এর সঠিক তাৎপর্য বাস্তবায়ন সম্ভব। মহানবীর (সা.) জীবন ছিলো সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ভালোবাসা, ক্ষমাশীলতা ও সহিষ্ণুতার মূর্ত প্রতীক। তাঁর শিক্ষা সর্বজনীন, যা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য কল্যাণকর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম তরিকুল ইসলাম। মূল আলোচক হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন কামালখান হাট কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক, জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জালাল উদ্দিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।