মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ধোবাউড়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত ছাতকের দোলারবাজারে বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অসুস্থ ও দুস্থ পরিবারের পাশে লায়ন খোরশেদ আলম দিনাজপুরে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন গোমস্তাপুরে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২জন নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু তারাকান্দায় রফিকুল ইসলাম নামে একজনের লাশ উদ্ধার খুলনার বটিয়াঘাটায় কাজীবাছা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

নবীনগরে ধর্মীয় প্রতারণার বিতর্কে জাতীয় পার্টির নেতা মুসলেম উদ্দিন মৃধা।

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময়: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৮ সময় দেখুন

নবীনগরে ধর্মীয় প্রতারণার বিতর্কে জাতীয় পার্টির নেতা মুসলেম উদ্দিন মৃধা।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার নারাণপুরে আধ্যাত্মিক সাধক ছাওয়াল শাহের খেলাফতের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ নিয়ে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু।

অভিযোগে জানা যায়, ছাওয়াল শাহ জীবদ্দশায় কাউকে খেলাফত দিয়ে যাননি। অথচ মোসলেম উদ্দিন মৃধা নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত দাবি করে পোস্টার-ব্যানার ছাপান। প্রতিবছর ৬ জানুয়ারি ওরসের নামে ভক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করছেন।

ছাওয়াল শাহের ছেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা কারও হাতে খেলাফত দেননি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে গদিনিশিন। মৃধা ভুয়া দাবির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

খেলাফতের ভুয়া দাবির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও উঠেছে বড় প্রশ্ন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছামছুল আলম শাহন বলেন, মোসলেম উদ্দিন মৃধা আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে গেজেট প্রকাশের সময় অনৈতিকভাবে তার নাম ঢুকিয়ে তিনি বছরের পর বছর সরকারি ভাতা সহ সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অপমান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেম উদ্দিন মৃধা দাবি করেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজীব চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙানো হয়েছে। যদি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD