তামাবিল শুল্ক স্থলবন্দরে শ্রমিকদের উপর ছাত্রদল-যুবদলের হামলা, মামলা
সিলেটে এবার শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে শুল্ক স্টেশনে অনুষ্ঠিত নিলামে মালামাল বাগিয়ে নিতে হামলার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। হামলায় তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং- চট্ট-২২১৪) সভাপতি মনির হোসেনসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
তামাবিল শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন:
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, দরবস্ত করগ্রামের শফিউল আজমের ছেলে বদরুল আলম শাওন (৩২)
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, আনসার আলীর ছেলে সুলেমান আহমদ (৩২)
জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, হরিপুর বালিপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে জামিল আহমদ (৩১)
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদল ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব, হরিপুর লামা আসামপুর গ্রামের মৃত নাজমুল হোসেনের ছেলে শাহিন আলম (৩৫)
জৈন্তাপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব, মৃত মরা মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ ইলিয়াস (৩৪)
হরিপুর বাজারে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের মূল হোতা, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, হরিপুর চাঁনখাট গ্রামের মৃত আয়াত উল্লাহর ছেলে ফরুক আহমদ সুইট (৪৮)
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য, মাওলানা আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহফুজ আহমদ (৩২)
জৈন্তাপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, মৃত আকবর আলীর ছেলে মো. শাহজাহান
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে কাস্টমসে জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল নিলামের সময় অভিযুক্তরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে মারামারিতে লিপ্ত হয়।
স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেন তাদের বাধা দেন, কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে তারা মনির হোসেনের উপর হামলা চালায়। হামলায় মনির রক্তাক্ত হন। এসময় তারা সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা হাতিয়ে নেন। সাদ্দাম ও অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে, তাদের উপরও হামলা করা হয়। শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সহসভাপতি আয়নাল হকের ৩০ হাজার টাকাও তুলে নেয় অভিযুক্তরা এবং সাদ্দাম ও তার পরিবারের হত্যার হুমকি দেয়। মনির হোসেন বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাদ্দাম হোসেন আইনী ব্যবস্থা নিতে জৈন্তাপুর থানাপুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।