ছাতকে শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আখড়া মন্দিরে ১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী মহোৎসব এবং শ্রীমতি রাধারাণীর আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ছাতকের শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আখড়া মন্দিরে শনিবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ অনুরাগী সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃ তরিকুল ইসলাম।
দিনব্যাপী কর্মসূচি
সকাল ৮টা: ধর্মীয় চরিত্রে “যেমন খুশি তেমন সাজ” প্রতিযোগিতা (সর্বজনীন)
সকাল ১০টা: সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা (শিশু শ্রেণি–২য় শ্রেণি)
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা– ক বিভাগ (৩য়–৫ম শ্রেণি), খ বিভাগ (৬ষ্ঠ–১০ম শ্রেণি), বিষয়: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতিকৃতি
সকাল ১১টা: পূজার্চনা ও সমবেত প্রার্থনা
দুপুর ১২টা: গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা (শিশু শ্রেণি–২য় শ্রেণি)
সন্ধ্যা ৭:৩০: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরতি ও কীর্তন (পরিবেশনায়: আরতি সংঘ, শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া)
রাত ৮টা: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (পরিচালনায়: অজয় কৃষ্ণ পাল)
রাত ১০:৩০: আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী
রাত ১১টা: হরিনাম সংকীর্তন
রাত ১২টা: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ অভিষেক ও প্রসাদ বিতরণ
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন অধ্যক্ষ হিমাদ্রী গোস্বামী মহর।
আয়োজকদের বক্তব্য
ছাতক সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ অধিকারী বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকলে উপস্থিত থেকে এই মহোৎসবকে সফল করে তুলবেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সনাতন ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মগুলোর একটি, যা অন্য কোনও ধর্মকে অসম্মান না করে বরং সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার শিক্ষা দেয়। আয়োজকরা বিশ্বাস করেন, সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরাপদে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে একটি মর্যাদাবান, স্বনির্ভর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।