রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যুব সমাজকে খেলাধুলায় ফেরাতে তুরাগে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট মারকাযুন নূর আদর্শ মহিলা হিফয মাদ্রাসা কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে জালিয়া পালং ছেপটখালীতে । ড়াইলের মাইজপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষার্থী বিজয় কর্মকারের মৃত্যু নাগরপুরে নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবক দলের শিবমন্দির পাহারা নবীনগর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত । জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শিববাড়ীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নাসিরনগরের ধরমন্ডলে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল বাহাত্তরের সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয় : ব্যারিস্টার জুনেদ জাফলং কোয়ারি থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার বগুড়া পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সভাপতি জিহাদ, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল

জগন্নাথপুরে রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেটের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৩ সময় দেখুন

জগন্নাথপুরে রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে এখন রোপা আমন ধান রোপণের ধুম পড়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রের সহায়তায় সময়মতো বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদন করে জমিতে ধান রোপণ করছেন। গত ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা আশা করছেন সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রোপণ কার্যক্রম শেষ হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কৃষকরা মোট ৪৯০ হেক্টর বীজতলা প্রস্তুত করেছেন। এবারে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬১০ হেক্টর জমি। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে এবং বাকি জমিতে দুই সপ্তাহের মধ্যেই রোপণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮,১৭৬.৫ মেট্রিকটন এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ২৫,৪৫১ মেট্রিকটন। এছাড়া উপজেলার মোট ১,৯৫০ জন কৃষককে সরকারি প্রণোদনার আওতায় ধান বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

কৃষক আঙ্গুর মিয়া (ঘিপুড়া), আজিবুল (বালিকান্দী), মাহমুদ মিয়া (নবীনগর) ও আশরাফ মিয়া (আধুয়া) সহ অনেক কৃষক জানান, সরকারি প্রণোদনার কারণে সময়মতো বীজ ও সার পেয়েছেন। এবার প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন ব্যবহার করে অল্প খরচে দ্রুত সময়ে ধান রোপণ সম্ভব হয়েছে।

পাইলগাঁও ইউনিয়নের মশাজান গ্রামের কৃষক টিপু সুলতান বলেন, “আমাদের জমি কুশিয়ারা নদীর তীরে হওয়ায় প্রতিবছর বন্যার ভয় থাকে। তবুও এবার ২৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ শুরু করেছি। আশা করছি চলতি সপ্তাহেই রোপণ শেষ হবে।”

বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরাও জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী সপ্তাহেই সব জমিতে রোপণ শেষ হবে এবং তারা ভালো ফলনের আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কাওসার আহমেদ বলেন, “বোরোর পর আমন ধান এখানে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ফসল। গত বছর ৯ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছিল, আর এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬১০ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ধান রোপণ করছেন। জনপ্রিয় ধান ব্রি-১০৩ ছাড়াও নতুন জাত ব্রি-১১০ এ বছর প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এর ফলন কেমন হয় তা দেখা যাবে। পাশাপাশি ব্রি-৯৩ ও ব্রি-৯৫ জাতের ধান চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে রয়েছে।”

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD