সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নাসিরনগরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত ঢাকা–১৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু ভাইয়ের সমর্থনে লিফলেট বিতরণে মাঠে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হিমেল জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিটি প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাইদুল ইসলাম বহিষ্কার নাগরপুরে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এর বৃত্তি পরিক্ষা  ২০২৫ অনুষ্ঠিত  নড়াইলে বুড়িখালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ৭ম দিশারী মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ইং অনুষ্ঠিত রহমানের নির্দেশে গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে ড. ব্যারিস্টার চৌধুরী ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী ধর্মপাশা সেলবরষ ইউনিয়নে আনিসুল হকের পক্ষে উঠান বৈঠক নাসিরনগরে যুবদল নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

রাণীশংকৈলে পুকুরে মাছ চাষে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবহার! স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

আব্দুল জব্বার ঠাকুরগাঁও:
  • আপডেটের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৩৭ সময় দেখুন

রাণীশংকৈলে পুকুরে মাছ চাষে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবহার! স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় ৩ হাজারের বেশি পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ হচ্ছে । তার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ পুকুরেই মুরগির বিষ্ঠা (লিটার) সরাসরি মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে। এ অঞ্চলে মুরগির বিষ্ঠা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে সরাসরি খামার থেকে নিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে যত্রতত্র রেখে মাছ চাষে ব্যবহারের কারণে পুকুরের পানি দূষিত হচ্ছে ও দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
সরজমিনে জানা যায়, নেকমরদ – কাতিহার মহাসড়ক, নেকমরদ- চেকপোস্ট সড়ক,মীরডাঙ্গী – গজিরহাট ও চামারদিঘি সড়কসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ পুকুরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন খামারের মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ যাহা স্থানীয়রা লিটার বলে অভিহিত করে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে এসব পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ফেলে রাখায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হলেও দেখার কেউ নেই। মুরগির লিটার ব্যবহারের ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী সহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। কিছু সংখ্যক গ্রামের মানুষ মৎস্যচাষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে এসব নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকির শিকার হতে হচ্ছে। এ দিকে দিনের পর দিন একই পুকুরে বার বার পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ব্যবহারে পানি দূর্গন্ধের পাশাপাশি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু মানুষের অভিযোগ।
কৃষি বিভাগ বলছে, মুরগির বিষ্ঠা প্রক্রিয়া করে জৈব সার তৈরি করা যায়। যা প্রায় ৪ মাস মাটিতে পুঁতে রেখে ১’শ কেজি বিষ্ঠা থেকে প্রায় ৫০ কেজি টিএসপির গুনাগুন সমৃদ্ধ জৈব সার পাওয়া সম্ভব। যা পুকুরে মাছ চাষে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মুরগীর খাবারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও কেমিক্যাল রয়েছে। মুরগীর মল মাছের শরীরে প্রবেশ করলে সহজে ধ্বংস হয় না। তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরবর্তীতে মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মাছের খাবার হিসেবে মুরগীর বিষ্ঠার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এবিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জলিল জানান,  শুনেছি মৎস্যচাষীরা মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠকে আমি নিজে মৎস্যচাষীদের এসব না ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করেছি। তবুও তারা থামছে না। আমি ইউএনও স্যারের  সাথে কথা বলেছি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD