রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

বাকৃবিতে শাস্তির মুখে ১৫৪ জন: শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
  • আপডেটের সময়: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৬ সময় দেখুন

বাকৃবিতে শাস্তির মুখে ১৫৪ জন: শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন ১৫৪ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সোমবার (৪ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষককে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, ৯ জনকে পদাবনতি এবং একজনের পদোন্নতি ও বেতনবৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ৩১ জন শিক্ষককে তিরস্কার করা হয়।

কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জনকে বরখাস্ত, ৮ জনকে চাকরিচ্যুত, ৭ জনকে তিরস্কার এবং একজনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে ২ জন বরখাস্ত, ১ জন অপসারণ এবং ১৯ জনকে তিরস্কার করা হয়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ৩৯ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৮তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন। গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ওই সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ অনুমোদন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে “শেখ হাসিনাতেই আস্থা” এবং “ঘরে ঘরে খবর দে, এক দফার কবর দে”—এই ধরনের স্লোগান সম্বলিত মিছিল করে একটি পক্ষ। এ সময় শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এবং কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর তদন্তে নির্যাতন, হুমকি এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের হয়রানির তথ্য উঠে আসে। ওই ঘটনার সূত্র ধরে ৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ জন কর্মকর্তা এবং ২১ জন কর্মচারীকে দায়ী করে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে সংঘটিত নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই রাতে চারজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে (১৫ জনের সনদপত্র বাতিল ও ৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার), ২ জন শিক্ষককে (একজনের পদাবনতি ও অন্যজনের পদোন্নতি-বেতন স্থগিত) এবং ১ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বাকৃবির তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার জানান, “অভিযোগপত্র ও তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কমিশন সুপারিশ করেছিল। সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ ব্যবস্থা নিয়েছে।”

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD