নড়াইলে প্রতারণার শিকার প্রতিবন্ধী কমল পাল, জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নড়াইল সদর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী কমল চন্দ্র পাল তাঁর শেষ সম্বল, এক একর ১০ শতক জমি প্রতারণার মাধ্যমে হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমি হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, তবে অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেখহাটি ইউনিয়নের আফরা মৌজার ৪২১৬, ৪২১৯, ৪২২০, ৪২২১, ৪২২৩, ৩৮৭১ ও ৫১৯১ দাগের এক একর ১০ শতক জমির মালিক কমল পাল। পাশের হাতিয়াড়া গ্রামের বিলাস গোস্বামী (৩৬) এবং বাকড়ি গ্রামের নিরব বৈরাগী (৩৫) কৌশলে কমল পালের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। পরে তাঁকে বিভ্রান্ত করে ১ জুন নিজেদের নামে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আদায় করেন।
পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে তারা দ্রুত নিজেরা ও নিজেদের স্ত্রীর নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন—বিলাস তাঁর স্ত্রী পিয়া গোলদারের নামে এবং নিরব তাঁর স্ত্রী সিথি সরকারের নামে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে কমল পাল বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে অভিযুক্তরা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। নির্ধারিত দিনে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তার আগের দিন (২৬ জুলাই) তারা পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
কমল পাল বলেন, “আমি হাঁটাচলা করতে পারি না। এই সুযোগে প্রতারণা করে তারা আমার জমি লিখে নিয়েছে। আমি আমার জমি ফেরত চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল পাল, রূপচাঁদ পাল, অসীম বিশ্বাস ও রেনুকা বিশ্বাস জানান, সন্তানহীন ও অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়েই কমলের জমি কুক্ষিগত করা হয়েছে। তাঁরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার ওলিয়ার রহমান বলেন, “বিলাস ও নিরব একসময় জমি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে পালিয়ে গেছেন। আমরা আশাবাদী, তারা দ্রুতই কমল পালের জমি ফেরত দেবেন।”
এদিকে অভিযুক্তদের পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।