শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাগুরার মহম্মদপুরে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছি— মো: মাহবুবুর রহমান তদন্তে স্থবিরতা,  ৬ মাসেও মেলেনি প্রত্যাশার আত্মহত্যার রিপোর্ট ভোলাহাটে বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিপলেট বিতরণ সাজাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার” কোটে প্রেরণ করা হয়েছে মোহনগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত ধানের শীষে ভোট দিয়ে, বিএনপিকে জয়যুক্ত করতে হবে–মো: মাহবুবুর রহমান নড়াইলে পুলিশ সদস্যদের তিনদিন মেয়াদী নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন করলেন এসপি রবিউল ইসলাম ছাতকের ‘তারা বিলের’ মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত খুলনার বটিয়াঘাটায় দৈনিক ভোরের চেতনার সাংবাদিক এম হায়াত উদ্দিন   হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

সাভারে অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল করতে চায় প্রভাবশালীরা

মোঃ শান্ত খান বিশেষ প্রতিনিধি 
  • আপডেটের সময়: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ২৪৭ সময় দেখুন

ঢাকার সাভারে প্রভাবশালীরা জমি দখল করতে একটি অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর মিথ্যে মামলা ও বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে নির্যাতিত পরিবারের জমির মালিক এক অসহায় বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

জানা গেছে ১৯৯৭ সালে উপজেলার উত্তর মেইটকা গ্রামের মোঃ শামসুর রহমান ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর শামসুর রহমানের নামে যথারিতি নামজারি হয় এবং তিনি জমি

দখলে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। জমির মৌজা- বরতৈল, খতিয়ান- আর.এস-৫২, দাগআর.এস- ২৪৫।

 

২০১২ সালে শামসুর রহমান তার স্ত্রী মোছাঃ শামসুন নাহারকে হেবা করে ওই ১৩ শতাংশ জমি লিখে দেন, যার নামজারির খতিয়ান- ১১০৯, বিডিএস খতিয়ান- ৫৮৫, বিডিএস দাগ- ৬৮৪।

বর্তমান সন পর্যন্ত খাজনা দিয়ে দখলে আছেন তারা। ঝাউচর বরতৈল বাজার গ্রামের প্রভাবশালীদের নজরে পড়ে ওই জমি। বিভিন্নভাবে জমিটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে তারা। শুরু হয় নানা ধরনের হয়রানি মূলক নির্যাতন। তাদের এমন হয়রানি মূলক ও মানসিক

নির্যাতনে ধুকে ধুকে মারা যান শামসুর রহমান।

এই সুযোগে ওই প্রভাবশালীদের মধ্যে হেমায়েতপুরের ঝাউচর বরতৈল বাজার গ্রামের কছুমদ্দিনের ছেলে মোঃ জহির, ছামির আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেলের ছেলে মোঃ এমদাদ, রাজধানীর জিগাতলার মোঃ শরাফত উল্লাহর ছেলে মোঃ নূর নবী, সনাতনগড়ের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন সহ আরো স্থানীয় লোকজন এলাকার প্রভাবখাটিয়ে ওই বৃদ্ধার জমি বর্তমানে দখল করতে চেষ্টা করছে। এ বছর তাদের রোপনকৃত পাটশাকের উপর অসৎ উদ্দেশ্যে ধইনচা দানা ছিটিয়ে দেয়, পেয়ারা গাছ, সুপারি গাছ, কাঠ গাছ তুলে ফেলে দিয়ে জমিতে যেতে ভয়ভীতি দেখায়। জমির ওয়াল বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলে ও তাদের নামীয় সাইনবোর্ডের নাম মুছে দেয়।

অসহায় বৃদ্ধা শামসুন নাহারের ছেলে সামিউর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তারা আমার বড় ভাই মোঃ অহিদুর রহমান, আমার মা ও বোন জামাইয়ের নামে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সম্মান হানি করেছে। প্রতিনিয়ত ওই ভূমিদস্যুদের হুমকিতে আমরা পরিবারের সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তার বড় ছেলে অহিদুর রহমান বলেন, আমার বাবা শামসুর রহমান তাদের এরকম হয়রানী মূলক

অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা যায়।

জমিতে আমরা শাকসবজি ও ফসল লাগালে সেগুলো

তারা নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমার মা অত্যাধিক পরিমানে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একই কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত।

অসহায় বৃদ্ধা শামসুন নাহার জানান ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে

মারা গেছে। এখন এই ভূমিদস্যু জহির, সাইফুল গংদের অত্যাচারে আমি হার্ডএ্যাটাক করেছি।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে আমি ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন বাসায় এসেও ওদের

জন্য শান্তি পাচ্ছিনা। আমার স্বামীর সম্পত্তি রক্ষায় এভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছি। এতো কিছুর পরও এর প্রতিকার পাচ্ছিনা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহিরের সাথে কথা বলতে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি জহির নয় বলে অস্বীকার করেন।

আরেক অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, জমি তাদের হলে তারা কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধান করতে পারে। এছাড়া জমির ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমাকে অযথা অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD