ছাতক ছনবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশ ইন করা ১৬ জন নাগরিককে উপজেলার জাহানারা বেগম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ভবনে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পুশ ইন করা এসব আশ্রয়কারী ১৬ জনের দ্বায়িত্ব নিয়েই দেখ-ভাল করে যাচ্ছে। ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে আমেরতল জাহানারা বেগম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প ভবনে থাকা ১৬ জন পুশ ইন নারী-পুরুষ ও শিশুদের দেখতে যান। এসময় তিনি তাদের সাথে সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। আশ্রয়নে থাকা লোকজনের মাঝে তিনি পোশাক, খাদ্য, ঔষধ বিতরণ করেন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন আটককৃত পরিবারের সদস্যরা। গত ২৮ মে ভোর রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াকোট বিওপির অধীনস্থ ছনবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ। বিএসএফ কর্তৃক পুশইন করা ১৬ জনকে ভোরে নোয়াকোট বিওপি’র ক্যাম্পের একটি টহল দল আটক করে ছাতক থানায় হস্তান্তর করেছে । তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ জন, মহিলা ৫ জন, ছেলে ৪ জন, মেয়ে ২ জন রয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার ৫টি পরিবারের সদস্য। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল জাহানারা বেগম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে এসব পরিবারদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় ১৬ জনের থাকা খাওয়ার জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, প্রতিনিধি কে জানান মৌলিক চাহিদা প্রত্যেক মানুষই পাওয়ার অধিকার রাখে এবং মৌলিক অধিকার পূরণ ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপত্তা অর্জন এবং প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জন সম্ভব হয় না। যেহেতু তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করাও আমাদের কর্তব্য। তিনি আরো জানান, পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদেরকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখা হবে।