বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)’র প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট কোম্পানীর বিক্রয় পুনঃ দরপত্র আহবান করা হয়েছে গত ৫ মে। সিসিএল এর পুরাতন ওয়েট প্রসেস কারখানার অব্যবহৃত -অকেজো চিহ্নিত বিভিন্ন স্থাপনা সহ বিভিন্ন পয়েন্টের স্ক্যাপ মালামাল ১ (এক) লটে (যেখানে যে অবস্থায় আছে) তা বিক্রয়ের দরপত্র প্রকাশ করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রবিবার ২৫ মে ২০২৫ ইং দুপুর ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত দরপত্র দাখিল ও বিকেল ৩.৩০ টায় দরপত্র বক্স খোলা হয়েছে। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানীর বিভাগীয় প্রধান (বানিজ্যিক) এর কার্যালয়, নেজারত শাখা, জেলা প্রশাসক সিলেট এর কার্যালয় ও নির্বাহী প্রকৌশলী, গনপুর্ত বিভাগ সিলেটের কার্যালয়ে দরপত্র গ্রহণ করা হয়। দরপত্র আহবানের পর সময়ের মধ্যে ৫৭ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত মুল্য দিয়ে দরপত্র ক্রয় করলেও ৮ টি প্রতিষ্ঠান তাদের দরপত্র দাখিল করেছেন। অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দরপত্র বক্স বন্ধ-শীলগালা ও সময়মত সাংবাদিক, পুলিশ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খোলা হয়েছে। দরপত্রে অংশ গ্রহণকারী ৮ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন, বিল্লাল এন্টারপ্রাইজ। তাদের দর ৭৫ কোটি ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দরদাতা নির্বাচিত হয় বিছমিল্লাহ-সোনালী চেলা ইঞ্জিনিয়ারিং। দর ৭১ কোটি ১ লক্ষ টাকা। ৩ য় দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন মেসার্স রাকিব হাসান, তিনি দর দাখিল করেন ৬৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ৪র্থ দরদাতা হলেন কর্ণফুলী রিভার্স ট্রান্সপোর্ট। তারা দর দাখিল করেন ৬৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৫ শ ৫৫ টাকা। এছাড়া শহীদ ট্রেডার্স ৬১ কোটি টাকা, রাব্বি এন্টারপ্রাইজ ৫৯ কোটি, ৯৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা, সালেহ এন্ড ব্রাদার্স ৫১ কোটি টাকা। মা আয়রণ পয়েন্ট ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার দর দাখিল করেন। সর্বোচ্চ দরদাতা বিল্লাল এন্টার প্রাইজের পে-অর্ডারের মুল্য ঠিক থাকলেও পে-অর্ডার ঘষামাজা রয়েছে। এ ব্যাপারে টেন্ডার কমিটির কাছে মেসার্স বিছমিল্লাহ-সোনালী চেলা ইঞ্জিনিয়ারিং এর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, দরপত্রের কাগজ-পত্র আরো যাচাই বাছাই করা এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। কোন ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়লে দরদাতার দরপত্র বাতিল করা হবে।