অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারে সচেতনতামূলক সভা
অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার এবং এর অপব্যবহার রোধে নাটোরের লালপুরে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার আব্দুলপুর বাজারে ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জেলা ঔষধ প্রশাসনের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আব্দুলপুর বাজারের ওষুধের দোকান মালিক, ড্রাগ লাইসেন্সধারী ও ফার্মেসি কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আব্দুলপুর বাজারের বিডিএস-এর সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মোহাব্বত হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসনের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাখনুওন তাবাসসুম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলার বিডিএস-এর সাধারণ সম্পাদক মৌসুম আলম খান।
সভায় প্রধান অতিথি ঔষধ প্রশাসনের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাখনুওন তাবাসসুম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হলেও এর ভুল ব্যবহার জনগণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স একটি বৈশ্বিক হুমকিতে পরিণত হয়েছে, যা অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহারের ফলে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ফার্মেসিগুলোকে চিকিৎসকের বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, সাধারণ সর্দি, কাশি, ভাইরাসজনিত জ্বর বা ব্যথায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ কার্যকর নয় এবং এসব ক্ষেত্রে ওষুধ বিক্রি করলে রোগীর ক্ষতির পাশাপাশি ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই গ্রাহকদের যথাযথ পরামর্শ দিতে ফার্মেসি কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় ফার্মেসি মালিকরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে আইন মেনে চলা, প্রেসক্রিপশন যাচাই, সঠিক তথ্য প্রদান এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় সভার অতিথি ও আয়োজকরা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। ফার্মেসি মালিকরা যদি নিয়মনীতি মেনে চলে, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব।
এ দিন সভা শেষে একটি র্যালী বের করা হয়।
র্যালীটি করিমপুর গেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুলপুর বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এদিন সর্বশেষ সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজনের অঙ্গীকার করা হয়