জগন্নাথপুরে গুচ্ছ গ্রামে বিনা অনুমতিতে বাউল সন্ধ্যার নামে অশ্লীল গানের আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি প্রশাসন আসরটির স্টেইজ ও প্যান্ডেল পণ্ড করে দিয়েছেন।
২০ শে নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত গোয়াসপুর গ্রাম নিবাসী মৃত মদরিছ ওরফে মদই এর ছেলে বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার ঘুংগিয়ারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন ডাউকা নদীর তীর ভরাটে অর্থাৎ সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী রফিক মিয়া (৪০) এর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই ঘুংগিয়ারগাঁও গ্রাম এলাকায় অবস্থানরত গুচ্ছ গ্রামের উঠানে বাউল সন্ধ্যার নামে নারী-পুরুষের অশ্লীল গানের আসর বসানোর জন্য স্টেজ ও প্যান্ডেল এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দিন গড়িয়ে রাত হলেই এই স্থানে গানের আসার বসার কথা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তুষ্টি দেখা দেয়। এবং স্থানীয় জনতা এই বিষয়টি জগন্নাথপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক মিয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাসিমকে অবহিত করেন। বিষয়টি অবগত হয়ে সকাল প্রায় ১১ ঘটিকার দিকে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিক মিয়ার দিক নির্দেশনায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদ এর প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাসিম এর নেতৃত্বে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মসিক আহমদ, কলকলিয়া বাজার বনিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মনসুর মিয়া ও গ্রাম পুলিশ বৃন্দ সহ স্থানীয় জনর ঘটনাস্থলে পৌঁছে গানের আসর এর স্টেজ ও প্যান্ডেল ভেঙে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে গুচ্ছ গ্রাম ও ঘুংগিয়ারগাঁও গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, রফিক মিয়া গুচ্ছ গ্রামে বসবাসকারী দুয়েকজন এর সাথে কথা বলে এই গানের আয়োজন করেছেন। এবিষয়টি স্টেজ বাঁধার আগ পর্যন্ত আমরা জানতাম না। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, রফিক মিয়া পয়সাওয়ালা তিনি যা ভাল মনে করেন তাই করেন। আমরা সহায় সম্বলহীন অসহায় হতদরিদ্র মানুষ। তার এহেন কাজকর্মে বাঁধা দিতে আমরা সাহস পাইনা। এই গানের আসর বন্ধ হওয়ায় আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য বৃন্দ নিকট কৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাসিম একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন , এই আয়োজনে সরকারি কোন অনুমতি ছিল না এবং অনুষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দেয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে গানের স্টেজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রফিক মিয়া একজন সুদখোর। ঘুংগিয়ারগাঁও গ্রাম এলাকায় খাস জমিতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে। এখানে আসার পর থেকে সে নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। যা এলাকাবাসী অবগত আছেন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তার বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।