সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নাসিরনগরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত ঢাকা–১৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু ভাইয়ের সমর্থনে লিফলেট বিতরণে মাঠে ছাত্রদল নেতা মোশারফ হিমেল জীবননগরে সীমান্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিটি প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাইদুল ইসলাম বহিষ্কার নাগরপুরে উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এর বৃত্তি পরিক্ষা  ২০২৫ অনুষ্ঠিত  নড়াইলে বুড়িখালি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ৭ম দিশারী মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ইং অনুষ্ঠিত রহমানের নির্দেশে গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে ড. ব্যারিস্টার চৌধুরী ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী ধর্মপাশা সেলবরষ ইউনিয়নে আনিসুল হকের পক্ষে উঠান বৈঠক নাসিরনগরে যুবদল নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ডেস্ক রির্পোট:হেমন্ত টিভি
  • আপডেটের সময়: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২৮ সময় দেখুন

ময়মনসিংহে উন্নয়নের পথে নতুন দিগন্ত; জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম

ময়মনসিংহ জেলার প্রশাসনিক কাজ এখন এক নতুন গতি পেয়েছে। উন্নয়ন, সুশাসন আর জনসেবার ক্ষেত্রে জেলার প্রতিটি কোণে কাজ করছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি মাঠে-ময়দানে সক্রিয়। অফিস কক্ষের বাইরে গিয়ে তিনি মানুষের কথা শুনছেন, প্রকল্প দেখছেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা দায়িত্ব নেয়ার পর প্রশাসনে এক ধরনের প্রাণ ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর লক্ষ্য- স্বচ্ছ প্রশাসন, দ্রুত সেবা ও জনগণের আস্থা অর্জন।
মানুষের কাছাকাছি প্রশাসন-
জেলা প্রশাসকের কাজ মানেই শুধু ফাইল দেখা নয়; এ কথা তিনি নিজের কাজে প্রমাণ করেছেন।
প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
কোথাও রাস্তা হচ্ছে, কোথাও স্কুল বা হাসপাতাল, আবার কোথাও পর্যটন উন্নয়ন; সব জায়গায় তার উপস্থিতি দেখা যায়।
সম্প্রতি তিনি হালুয়াঘাটের গাবরাখালী গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন, গফরগাঁওয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের কাজ পরিদর্শন করেছেন, আর ময়মনসিংহ শহরে উন্নয়ন সভা পরিচালনা করেছেন।
তরুণদের উৎসাহ দিতে আয়োজন করেছেন দাবা ও ফুটবল টুর্নামেন্ট, যেখানে তিনি নিজেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন ও সুশাসনের একসাথে অগ্রযাত্রা-
ডিসি মুফিদুল আলম মনে করেন, উন্নয়ন তখনই অর্থবহ হয় যখন সেটির সুফল মানুষ পায়।
তাই তিনি শুধু প্রকল্পের অগ্রগতি দেখেন না, বরং খোঁজ নেন সেটি মানুষের জীবনে কতটা পরিবর্তন আনছে।
এক কর্মশালায় তিনি বলেন,
“সুশাসন মানে শুধু নিয়ম মানা নয়, বরং মানুষের আস্থা অর্জন করা।”
বন্যা বা দুর্যোগের সময় তিনি দ্রুত মাঠে নেমে পড়েন, আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেন, ত্রাণ বিতরণ তদারকি করেন।
একই সঙ্গে জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় তিনি বেশ সচেতন-সবুজায়ন, জলাশয় রক্ষা আর জলবায়ু অভিযোজন তার নিয়মিত আলোচনার বিষয়।
ভূমি অধিগ্রহণে নতুন উদাহরণ-
ময়মনসিংহে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ অনেক সময় জটিল ও ধীরগতির ছিল।
মুফিদুল আলম দায়িত্ব নেয়ার পর এই ব্যবস্থায় এনেছেন বড় পরিবর্তন।
পুরনো ও অপরিসর অফিসের জায়গায় তিনি ভূমি অধিগ্রহণ অফিসকে জেলা প্রশাসকের ভবনের নিচতলায় স্থানান্তর করেছেন।
ফলে এখন নিরাপত্তা বেড়েছে, ফাইল প্রক্রিয়া দ্রুত হয়, আর সেবাগ্রহীতার কষ্টও কমেছে।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,
“ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না-সে অফিসের কেউ হোক বা বাইরের।”
এই বক্তব্যের পর থেকেই ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম রোধে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে।
দালালচক্র ও জালিয়াতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেকেই আইনের আওতায় এসেছে।
জনগণও এখন নিশ্চিন্তে সেবা নিতে পারছেন, হয়রানির আশঙ্কা কমেছে।
সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও তরুণ প্রজন্ম-
ডিসি মুফিদুল আলম বিশ্বাস করেন, উন্নয়ন শুধু রাস্তা বা ভবন নয়- মানুষের মানসিক বিকাশও সমান জরুরি।
তাই তিনি নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও তরুণদের কার্যক্রমে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, ইন্টারস্কুল দাবা প্রতিযোগিতা, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ; এসব অনুষ্ঠানে তাকে প্রায়ই দেখা যায়।
তিনি বলেন,
“খেলাধুলা মানুষকে ইতিবাচক করে, সমাজে ঐক্য আনে।”
সততা, পরিশ্রম আর আস্থার নাম- মুফিদুল আলম
সহকর্মী ও সাধারণ মানুষ- দু’পক্ষই এক বিষয়ে একমত,
মুফিদুল আলম একজন সৎ, নিরহংকার ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা।
তিনি নিয়মিত সময়মতো অফিসে আসেন, অভিযোগ শোনেন এবং সরাসরি সমাধান দেন।
অফিসে এখন সেবা পাওয়া সহজ হয়েছে, অনলাইন অভিযোগ ব্যবস্থাও আরও কার্যকর।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“ডিসি স্যারকে মাঠে দেখা যায়, শুধু কাগজে নয়-এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।”
বিতর্কেও দৃঢ় অবস্থান-
সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভাঙার বিতর্ক যখন মিডিয়ায় আসে, তখন অনেকেই নানা কথা বলেছিলেন।
কিন্তু জেলা প্রশাসক শান্তভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন-
“সরকারি রেকর্ডে জায়গাটি শিশু একাডেমির সম্পত্তি। আমরা যাচাই করছি, কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।”
পরে তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেন।
এটি তাঁর প্রশাসনিক দূরদর্শিতা ও স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত।
-দলগত নেতৃত্বে সাফল্য
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুন নাহার (শিক্ষা ও আইসিটি) ও উম্মে হাবীবা মীরা (উন্নয়ন)।
তারা সবাই মিলে নিয়মিত সভা করেন, প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, আর জনসেবাকে আরও সহজ করার পরিকল্পনা নেন।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য-
ডিসি মুফিদুল আলমের লক্ষ্য স্পষ্ট –
“ডিজিটাল সেবা ডেলিভারি ও ই-গভর্নেন্স”কে আরও শক্তিশালী করা।
তিনি চান, মানুষ যেন সরকারি সেবা পেতে অফিসে না এসে অনলাইনে কাজ সারতে পারে।
তিনি বলেন,
“আমরা এমন প্রশাসন চাই, যেখানে মানুষ দ্রুত সেবা পাবে, এবং আস্থা রাখতে পারবে।”
ময়মনসিংহের মানুষ এখন বলে-
“উন্নয়ন মানে মুফিদুল আলমের কাজ।”
তিনি শুধু প্রশাসক নন, বরং এক এমন মুখ, যিনি মাঠের মানুষ হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন,
যেখানে আছে পরিশ্রম, সততা আর মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা-
সেখানেই দেখা যায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের ছায়া

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD