রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যুব সমাজকে খেলাধুলায় ফেরাতে তুরাগে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট মারকাযুন নূর আদর্শ মহিলা হিফয মাদ্রাসা কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে জালিয়া পালং ছেপটখালীতে । ড়াইলের মাইজপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষার্থী বিজয় কর্মকারের মৃত্যু নাগরপুরে নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবক দলের শিবমন্দির পাহারা নবীনগর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত । জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শিববাড়ীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নাসিরনগরের ধরমন্ডলে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল বাহাত্তরের সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয় : ব্যারিস্টার জুনেদ জাফলং কোয়ারি থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার বগুড়া পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি ছাত্রদলের সভাপতি জিহাদ, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল

উখিয়ার পালংখালীতে প্রবাসী’র স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধি আমিন
  • আপডেটের সময়: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ১০৫ সময় দেখুন
উখিয়ার পালংখালীতে প্রবাসী'র স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন।
উখিয়ার পালংখালীতে প্রবাসী'র স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন।

কক্সবাজারের ইউনিয়ন হসপিটালে এক সঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন ইয়াছমিন আক্তার নামের এক সৌভাগ্যবান মা। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে। এই গৌরবময় জন্মের ঘটনায় পরিবার, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ১টা ১৫ মিনিটে ইউনিয়ন হসপিটালের সমৃদ্ধ ও বিশেষজ্ঞ গাইনী বিভাগের চিকিৎসকেরা সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক পৃথিবীর আলো দেখেন।

প্রসূতি ও গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী ও ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তারের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন হয়। তাঁদের সাথে ছিলেন ডা. নুর মোহাম্দ ও ডা. কৌশিক দত্ত।

এর আগে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই প্রসূতিকে।

ইয়াছমিন আক্তার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মুছারহলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রবিউল আলমের স্ত্রী। রবিউল আট বছর ধরে সৌদিতে রয়েছেন। তিনি তাঁর সন্তানদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

দাদা নুর আহমদ বলেন, “মাশাআল্লাহ-আমি এক সঙ্গে চারটা নাতি পেয়েছি, তিন ছেলে ও এক মেয়ে। আমার অনেক খুশি লাগছে, আমার সৌদি প্রবাসী ছেলেও অনেক খুশি। সকলের কাছে নাতিদের জন্য দোয়া চাই।”

অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. মোসাম্মৎ রোকসানা আক্তার বলেন, “গর্ভাবস্থাটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। সফল অস্ত্রোপচারে মা ও চার নবজাতক সুস্থ অবস্থায় আছে-এটি আমাদের জন্যও অত্যন্ত আনন্দের।”

তিনি বলেন, “তাদেরকে বর্তমানে হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে (NICU) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত চার সন্তানের গর্ভধারণ এবং জন্ম—প্রায় ৭ লাখে একটি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মা ও শিশুদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা, পুষ্টি সহায়তা এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হবে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন হসপিটাল কক্সবাজার পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মুকিত চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজারে চিকিৎসা ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার সন্তানের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন হসপিটাল কক্সবাজার পিএলসি’র গাইনী বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে গৌরবময় কাজটি সম্পন্ন করেছে। এই সাফল্যে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেছে, যা উন্নত ও বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবায় হসপিটাল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD