ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, শম্ভুগঞ্জে রেণু ও পোনা বিক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। সম্প্রতি খামারের কার্যক্রম ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালেও, তদন্তে এর বাস্তবতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি খামারগুলোতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে আমরা তা দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিই। শম্ভুগঞ্জ খামারের ক্ষেত্রেও সেটি করা হয়েছে এবং স্থানীয় ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।”
এ বিষয়ে খামার ব্যবস্থাপক মোঃ শাহাদত ইসলাম বলেন, “আমি সবসময় চেষ্টা করি সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে বিধি মোতাবেক কাজ করতে। যদি কোথাও কোনো অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে থাকে, তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের রেণু ও পোনা বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে এবং রশিদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, “আমরা ইতোমধ্যে বিক্রয় প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি বাড়িয়েছি। কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।”
বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “খামারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় পর্যায়ে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জনগণের আস্থা অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশে মাছ উৎপাদনে আমাদের সাফল্য বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। এর পেছনে সরকারি খামারগুলোর অবদান উল্লেখযোগ্য। আমরা চাই জনগণ এর সুফল ভোগ করুক এবং খামারগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে ভুল তথ্য না ছড়ায়।”
এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন যে সরকারি খামারগুলো সত্যিই জনস্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম আরও বেশি জবাবদিহিমূলক হবে।