কেরামত আলী: কালিয়াকৈরের উদীয়মান তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ব্যবসায়ী সমাজে আজ এক সুপরিচিত নাম কেরামত আলী। তিনি একাধারে একজন সফল তরুণ ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল নেতৃত্বের ভূমিকায় আছেন। পারিবারিকভাবে তিনি একজন সম্মানিত পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা ওসমান গনী (ওসমান কোম্পানী) ও দাদা হাজী আব্দুস ছোবহান মুন্সী – দুজনই এলাকার পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব।
কেরামত আলী পেশাগত জীবনে ইলেকট্রিক ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন সাধারণ সম্পাদক, কালিয়াকৈর ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। সহ-সভাপতি গাজীপুর জেলা ইলেক্ট্রিক্যাল এসোসিয়েশন।এই সংগঠন গুলোর নেতৃত্বে থেকে তিনি ব্যবসায়ী সমাজের কল্যাণে বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এছাড়া তিনি যুগ্ম  সম্পাদক হিসাবে কালিয়াকৈর মৎস্য আড়ৎদার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসার স্বার্থরক্ষায় তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
কেরামত আলী শুধুমাত্র ব্যবসা কিংবা সংগঠন নিয়েই সীমাবদ্ধ নন। তিনি সমাজের উন্নয়নে নিবেদিত একজন মানুষ। তিনি সাবেক কো-চেয়ারম্যান, জাগ্রত ব্যবসায়ী জনতা বাংলাদেশ পদে থেকে ব্যবসায়ীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মানবসেবায়ও রয়েছে তাঁর সরব উপস্থিতি। তিনি নির্বাহী সদস্য, টান কালিয়াকৈর জামে মসজিদের পুনঃনির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক । কালিয়াকৈর বাজার মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা-র মত প্রতিষ্ঠানে সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার কোষাধক্ষ্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও দুঃস্থ-অসহায় মানুষদের কল্যাণে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
কেরামত আলী স্বচ্ছতা, সততা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসায়ী সমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায়, সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে তাঁর অবদান এলাকাবাসী আন্তরিকভাবে স্মরণ করে।
কেরামত আলী চান ভবিষ্যতে কালিয়াকৈরের ব্যবসায়ী সমাজকে আরও সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সমাজের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে।
শেষ কথা:
কেরামত আলীর মতো তরুণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকের অগ্রযাত্রা কালিয়াকৈরের জন্য আশার আলো। তাঁর নেতৃত্বে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠনগুলো ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে —এমনটাই প্রত্যাশা।