রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বীর মুক্তিযোদ্ধা,আরফান মিয়া সরদারকে,রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। লোহার রড ও এঙ্গেল দিয়ে হামলা — গুরুতর আহত স্বামী, থানায় মামলা স্ত্রীর নিহারেন্দু চক্রবর্তী, কলকলিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পশ্চিম বীরগাঁওয়ের দুর্দান্ত জয় জামালগঞ্জে উপদেষ্টার আশ্বাস টেন্ডার হলেই শুরু হবে জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা উড়াল সেতুর কাজ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কুমিল্লা ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনা। নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে মিললো অজ্ঞাত নারীর ভাসমান মরদেহ নাসিরনগরে গোকর্ণ ওলামা ত্বালাবা ঐক্য পরিষদ গঠিত নন্দীগ্রামে থালতা মাঝগ্রাম ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শ্রীপুরে দুই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন

‎ভূরুঙ্গামারীতে শতবর্ষী বটগাছ উপড়ে প্রধান সড়ক বন্ধ, চেয়ারম্যানের গড়িমসিতে দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ ‎মোঃ রাহিমুল ইসলাম হৃদয় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধিঃ ‎ ‎কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের বটতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন প্রধান সড়কের ওপর শতবর্ষী একটি বিশাল বটগাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে প্রায় এক মাস ধরে। ফলে পুরো রাস্তাটি চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। ‎ ‎গত ৫ জুলাই (২০২৫) রাতের প্রবল বৃষ্টির পর গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়। সেই থেকে স্থানীয় মইদাম, বাঁশজানি, দক্ষিন বাঁশজানি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকদের চলাচলে পড়তে হচ্ছে মারাত্মক সমস্যায়। ‎ ‎প্রথমদিকে ঈদগাহ মাঠ কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে মাঠের ভেতর দিয়ে বিকল্প রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দেন। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে সেখানেও কাদা জমে যাওয়ায় বর্তমানে সেটিও অচল হয়ে পড়েছে। ‎ ‎স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, শতবর্ষী এই বটগাছটি মূলত ঈদগাহ মাঠের জমিতে রোপণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় গাছটি রাস্তার খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপর পাশে খাল থাকায় রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভারসাম্য হারিয়ে গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়। ‎ ‎মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মাঠ কর্তৃপক্ষ, মইদাম বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে গাছ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানানো হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরকে। কিন্তু তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। ‎ ‎এরপর এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌসের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ইউএনও চেয়ারম্যানকে গাছ অপসারণের নির্দেশ দেন এবং আবেদন কপিও তার কাছে প্রেরণ করেন। তবুও গত এক মাসেও গাছ অপসারণ হয়নি, রাস্তাও হয়নি সচল। ‎ ‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, ‎“এত বড় বটগাছ সরানোর মতো সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই।” ‎ ‎অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ— ‎“চেয়ারম্যানের গড়িমসি ও অদক্ষতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে হাজারো মানুষ সড়কবিহীন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।” ‎ ‎তাদের দাবি, অবিলম্বে গাছটি অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা নিয়ে হলেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ‎ ‎এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— একটি প্রাথমিক স্তরের সমস্যাও যদি এক মাসে সমাধান না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়৷

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময়: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৬ সময় দেখুন

‎ভূরুঙ্গামারীতে শতবর্ষী বটগাছ উপড়ে প্রধান সড়ক বন্ধ, চেয়ারম্যানের গড়িমসিতে দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ


‎কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের বটতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন প্রধান সড়কের ওপর শতবর্ষী একটি বিশাল বটগাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে প্রায় এক মাস ধরে। ফলে পুরো রাস্তাটি চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে আছে।

‎গত ৫ জুলাই (২০২৫) রাতের প্রবল বৃষ্টির পর গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়। সেই থেকে স্থানীয় মইদাম, বাঁশজানি,  দক্ষিন বাঁশজানি  গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকদের চলাচলে পড়তে হচ্ছে মারাত্মক সমস্যায়।

‎প্রথমদিকে ঈদগাহ মাঠ কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে মাঠের ভেতর দিয়ে বিকল্প রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দেন। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে সেখানেও কাদা জমে যাওয়ায় বর্তমানে সেটিও অচল হয়ে পড়েছে।

‎স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, শতবর্ষী এই বটগাছটি মূলত ঈদগাহ মাঠের জমিতে রোপণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় গাছটি রাস্তার খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপর পাশে খাল থাকায় রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভারসাম্য হারিয়ে গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়।

‎মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মাঠ কর্তৃপক্ষ, মইদাম বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে গাছ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানানো হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরকে। কিন্তু তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।

‎এরপর এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌসের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ইউএনও চেয়ারম্যানকে গাছ অপসারণের নির্দেশ দেন এবং আবেদন কপিও তার কাছে প্রেরণ করেন। তবুও গত এক মাসেও গাছ অপসারণ হয়নি, রাস্তাও হয়নি সচল।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন,
‎“এত বড় বটগাছ সরানোর মতো সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই।”

‎অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ—
‎“চেয়ারম্যানের গড়িমসি ও অদক্ষতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে হাজারো মানুষ সড়কবিহীন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।”

‎তাদের দাবি, অবিলম্বে গাছটি অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা নিয়ে হলেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

‎এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— একটি প্রাথমিক স্তরের সমস্যাও যদি এক মাসে সমাধান না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়৷

‎মোঃ রাহিমুল ইসলাম হৃদয়

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধিঃ

‎কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের বটতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন প্রধান সড়কের ওপর শতবর্ষী একটি বিশাল বটগাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে প্রায় এক মাস ধরে। ফলে পুরো রাস্তাটি চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে আছে।

‎গত ৫ জুলাই (২০২৫) রাতের প্রবল বৃষ্টির পর গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়। সেই থেকে স্থানীয় মইদাম, বাঁশজানি,  দক্ষিন বাঁশজানি  গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকদের চলাচলে পড়তে হচ্ছে মারাত্মক সমস্যায়।

‎প্রথমদিকে ঈদগাহ মাঠ কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে মাঠের ভেতর দিয়ে বিকল্প রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দেন। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে সেখানেও কাদা জমে যাওয়ায় বর্তমানে সেটিও অচল হয়ে পড়েছে।

‎স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, শতবর্ষী এই বটগাছটি মূলত ঈদগাহ মাঠের জমিতে রোপণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় গাছটি রাস্তার খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপর পাশে খাল থাকায় রাস্তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভারসাম্য হারিয়ে গাছটি মূল সড়কের ওপর পড়ে যায়।

‎মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মাঠ কর্তৃপক্ষ, মইদাম বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে গাছ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানানো হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরকে। কিন্তু তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।

‎এরপর এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌসের কাছে লিখিত আবেদন করেন। ইউএনও চেয়ারম্যানকে গাছ অপসারণের নির্দেশ দেন এবং আবেদন কপিও তার কাছে প্রেরণ করেন। তবুও গত এক মাসেও গাছ অপসারণ হয়নি, রাস্তাও হয়নি সচল।

‎এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন,
‎“এত বড় বটগাছ সরানোর মতো সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই।”

‎অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ—
‎“চেয়ারম্যানের গড়িমসি ও অদক্ষতার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে হাজারো মানুষ সড়কবিহীন দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।”

‎তাদের দাবি, অবিলম্বে গাছটি অপসারণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহায়তা নিয়ে হলেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

‎এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— একটি প্রাথমিক স্তরের সমস্যাও যদি এক মাসে সমাধান না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়৷

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD