ছাতকের মঈনপুর জনতা মহা বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নব নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন মুহিতুল বারী রহমান। তিনি এই কলেজের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সব কলেজের গভর্নিং কমিটি বাতিল করা হয়। এতে নতুন এডহক কমিটির সভাপতি আবারো নির্বাচিত হন তিনি। জাতীয় ইউনিভার্সিটি কর্তৃক তাকে মনোনীত করে এই নতুন এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির ৬ মাস পার হওয়ার পরে জাতীয় ইউনিভার্সিটি আরো তিন মাসের সময় বর্ধিত করে দেয়। ২২. ০৬.২৫ ইং তারিখ ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশ ক্রমে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এডহক কমিটির মেয়াদ ১৯.০৬.২০২৫ ইং তারিখ থেকে ১৮. ০৯.২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দীর্ঘ ঈদের ছুটির পর এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় কিছু লোক জাতীয় ইউনিভার্সিটিতে এডহক কমিটি বাতিলের আবেদন করেন এবং এখানে তারা কিছু মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ চাপিয়ে মুহিতুল বারী রহমানকে আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যায়িত করে তারা নতুন একটি কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসেন।
জাতীয় ইউনিভার্সিটি ২৬.০৬.২০২৫ ইং তারিখ বর্ধিত করা সময়ের মনোনয়ন পরিবর্তন পুর্বক আদেশে মুহিতুল বারী রহমান এর পরিবর্তে এডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডাঃ মোহাম্মদ সাহেদুল হাসানকে। জাতীয় ইউনিভার্সিটির এ আদেশটি ও শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। গত ০৩.০৭. ২০২৫ ইং তারিখ জাতীয় ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরের আদেশ ক্রমে জাতীয় ইউনিভার্সিটির কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত আদেশে আবারো মুহিতুল বারী রহমানকে এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে পুনরায় কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
মুহিতুল বারী রহমান একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। সিলেটে বসবাস করেন তিনি। কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নয়। মুহিতুল বারী রহমানের সহকর্মীরা জানান তিনি ১৯৯১ সালে কলেজে লেখা পড়ায় থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে কিছুদিন জড়িত ছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি নিষ্ক্রিয়, কোন রাজনৈতিক দল বা কর্মকান্ডে জড়িত নয়।
কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য বা কমিটিতেও তিনি ছিলেন না এমন প্রমাণ কারো কাছে নেই বলে জানিয়েছেন মুহিতুল বারী রহমান।
মুহিতুল বারী রহমান সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। সিলেটের স্বনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সদস্য। সিলেট ক্লাবের ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি সিলেটস্থ ছাতক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা।
মুহিতুল বারী রহমানের পিতা মরহুম আফরোজ মিয়া ছিলেন মঈনপুর জনতা মহা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি।
তিনি জানান, সিলেট ক্লাবের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ক্লাবের অনেক আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, ক্লাব সদস্য ছিলেন তাদের অনেকের সাথে তার সম্পর্ক ও ছবি ছিল। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনেক রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের সাথে ছবি ছিলো। এসব ছবিকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি মহল কাদা ছু্ঁড়াছুঁড়ি ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন এবং তারা জাতীয় ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর বরাবরে আবেদন
করে আমাকে আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যায়িত করেছেন।
এসব সঠিক নয়, এগুলো ছিল তাদের সাজানো নাটক ও গ্রামের মধ্যের দ্বন্ধের বহিঃপ্রকাশ। ছাতক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মরহুম একরাম উদ্দিন আহমেদ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকাবস্থায় কলেজ কমিটিতে মুহিতুল বারী রহমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুহিতুল বারীর কমিটিতে ডা.
মোহাম্মদ সাহেদুল হাসান ছিলেন কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য। কাজেই এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে গ্রামের কোন্দল ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা ভালো মঈনপুর জনতা মহা বিদ্যালয় একটি রাজনীতি মুক্ত, মাদকমুক্ত, কলেজে ছাত্র/ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যব্যহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ এই কলেজটি এগিয়ে নিতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।