বিরলে জমি-জমার বিরোধে হামলা ও মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হামলাকরে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমকারীদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীগণ।
শনিবার বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের মৃত উজির মোহাম্মদ এর ছেলে ভূক্তভোগী মোঃ ফরাজুল ইসলাম (৪০) সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রতিপক্ষ মৃত আনছার আলী এর ছেলে মোঃ জুলফিকার আলী (৪০), মোঃ জমিল উদ্দীন এর ছেলে মোঃ আব্দুল আলিম (৩৮), মোঃ একরামুল হক (৪০), মোঃ আকিবুজ্জামান (৩৫), মোঃ আফছার আলী এর ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান (২৫), নুর আলম (২৭), মোঃ একরামুল হক এর স্ত্রী মোছাঃ আলেমা বেগম (৩০), মোঃ জমিল উদ্দীন এর স্ত্রী মোছাঃ খায়রুন নেছা (৫০), মোঃ একরামুল হক এর ছেলে আল মামুন (২১) গত ১৯ জুন-২০২৫ বৃহষ্পতিবার সকাল ৭.৩০টায় বিবাদীয় সম্পত্তির পশ্চিম পার্শ্বে এসে আমার ভাই মোঃ আনিসুর রহমান (৪২) ও তাঁর নাবালক পুত্র মোঃ জাহিদ (১৪) কে দেখতে পেয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল আলিম হুকুম দিয়ে বলে দাড়িয়ে কি দেখিস ব্যাটাদের মামলা করে আম বাগানের আম খাওয়ার সাধ চিরতরে ঘুচিয়ে দাও। হুকুম পাওয়া মাত্র প্রতিপক্ষগণ সকলে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে এগিয়ে এসে একরামুল হক তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে আনিসুর রহমানের মাথা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি কোপ মারলে উক্ত আঘাত আনিসুর রহমানের মাথার খুলির মধ্যভাগে এবং খুলির বাম পাশে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়, যাতে একাধিক সেলাই রয়েছে। জখমী আনিসুরকে রক্ষা করার জন্য তার পুত্র জাহিদ এগিয়ে আসলে আব্দুল আলিম হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে জাহিদকে লক্ষ্য করে হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে সজোরে আঘাত করলে জাহিদের বাম হাতের কনুইয়ের নীচে কবজিতে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। উক্ত আঘাতের ফলে জাহিদের বাম হাতের কবজির শিরা উপশিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে হাড় পর্যন্ত কাটা জখম হয়, যাতে ৩৯টি সেলাই রয়েছে। শোরগোল শুনে আমি ও আানিসুর রহমানের স্ত্রী জাকিয়া খাতুনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন প্রতিপক্ষগণের কবল হতে জখমীদের রক্ষা করার চেষ্টা করলে নুর আলম ও খায়রুন নেছা লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে আমাকে ও জাকিয়া খাতুনকে এলোপাথারী মারপিট করে হাতে পিঠে ও নিতম্বে ফোলা কালশিরা জখম করে। উক্ত সময় নুরুজ্জামান হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা জাকিয়া খাতুনের মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করলে উক্ত আঘাত জাকিয়ার কপালের ডান পাশে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়, যাতে একাধিক সেলাই আছে। আকিবুজ্জামান অসৎ উদ্দেশ্যে জাকিয়া খাতুনের গলা লক্ষ্য করে কোপ মারতে গেলে জাকিয়া খাতুন ডান হাত দিয়ে উক্ত আঘাত প্রতিহত করেন। ফলে হাসুয়ার আঘাত জাকিয়ার গলায় না লেগে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তর্জনীর মাঝখানে লেগে গভীর, গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়, যাতে সেলাই দেয়া হয়। আল মামুন জাকিয়ার পড়নের শাড়ীর আচল টেনে খুলে বিবস্ত্র করে লোক সমাজে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ইতিমধ্যে আনিসুর রহমান ও জাকিয়া খাতুন মুমুর্ষ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এবং জাহিদের হাত দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বাহির হতে থাকলে প্রতিপক্ষগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে উচ্চস্বরে হুমকি দেয় যে, অত্র ঘটনা নিয়ে কোথাও অভিযোগ বা মামলা করলে তারা আমাকে এবং আমার ভাই আনিসুরসহ আমাদের পরিবারের লোকজনদের হত্যা করে মামলার জমিতে লাশ গেড়ে দিবে। জখমীদেরকে নিয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাকাজে ব্যস্ত থাকায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-বিরল, দিনাজপুরে ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে সিআর ২১৩/২৫ বিরল নং মামলা দায়ের করলে আদালত হতে বিরল থানায় এফআইআর হিসেবে আমাদের আরজিটি গ্রহণপূর্বক ২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আমাদেরকে কুপিয়ে জখম ও মারপিট করে ক্ষান্ত না হয়ে উপরন্তু আমাদেরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে হয়রানির অপচেষ্টা করা হচ্ছে তাই আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আমাদের উপর হামলা ও মামলা প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকতাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।