শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাগুরার মহম্মদপুরে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছি— মো: মাহবুবুর রহমান তদন্তে স্থবিরতা,  ৬ মাসেও মেলেনি প্রত্যাশার আত্মহত্যার রিপোর্ট ভোলাহাটে বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিপলেট বিতরণ সাজাভুক্ত ২ আসামী গ্রেফতার” কোটে প্রেরণ করা হয়েছে মোহনগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত ধানের শীষে ভোট দিয়ে, বিএনপিকে জয়যুক্ত করতে হবে–মো: মাহবুবুর রহমান নড়াইলে পুলিশ সদস্যদের তিনদিন মেয়াদী নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন করলেন এসপি রবিউল ইসলাম ছাতকের ‘তারা বিলের’ মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত খুলনার বটিয়াঘাটায় দৈনিক ভোরের চেতনার সাংবাদিক এম হায়াত উদ্দিন   হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

বিরলে স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাদেকুল ইসলাম,
  • আপডেটের সময়: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ১৫৫ সময় দেখুন

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর আয়োজনে বিরল উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এ স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে বেসরকারী সংস্থাসমূহকে সম্পৃক্ত করণ জরুরী- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার সকালে মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মোঃ ইয়াকুব আলী এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য শক্তি কুমার রায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হানিফুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শক্তি কুমার রায় বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার লোক মৃত্যুবরণ এবং প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এবং ক্যানসার সোসাইটির গবেষণানুযায়ী, তামাক ব্যবহার জনিতকারণে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার কারণে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক। তামাকের কারণে শুধু স্বাস্থ্য নয়, অর্থনীতি এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। তিনি আরো বলেন বার্ষিক বাজেটে এই অর্থবছর হতে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করতে বাজেট বরাদ্ধ রাখা হবে।
বিশেষ অতিথি রাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এনজিও গুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আইন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে সহযোগীতা করতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে মাঝে মাঝে আলোচনা সভা এবং লিফলেট এর মাধ্যমে প্রচারনা অব্যাহত রাখতে হবে।
ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হানিফুর রহমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন কর্মসূচীকে গতিশীল করতে সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সভাপতি বলেন- বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সারাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত বেসরকারী সংগঠন সমূহের সম্মিলিতমঞ্চ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জোট সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে আসছে। বিগত দিনে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, বিধিমালাসহ বিভিন্ন সহায়কনীতি প্রণয়ন এবং আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করে জোটের এই বেসরকারী সংস্থা গুলো গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় থেকে উপজেলা পর্যন্ত সকল পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিতে তামাক বিরোধী জোটকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা- প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উক্ত নির্দেশিকার ৭.২ (৭.২.৭) ধারায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা এবং বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতির ত্রৈমাসিক/বাৎসরিক প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগের তামাক নিয়ন্ত্রণ ফোকাল পয়েন্ট ও মনিটরিং টিমের নিকট দাখিল করা এর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত তামাক নিয়ন্ত্রণে সরাসরি প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করায় তাদের নিজস্ব দক্ষতা, সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণে সংগঠন গুলোর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বূপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, দক্ষ এই সংগঠন গুলোর অধিকাংশেরই নিজস্ব তহবিল নেই, যার দরুন তারা পর্যাপ্ত কাজ করতে পারছেনা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে কার্যরত এ সংগঠন গুলোকে আর্থিক বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে হলে, উক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী সকল জেলা পরিষদ/উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত বাজেট থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুদান প্রদান করে দক্ষ এই সংগঠন গুলোকে মনিটরিংয়ে যুক্ত করলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকাটি বাস্তবায়ন আরো গতিশীল ও সহজ হবে। স্থানীয় সংগঠন গুলোর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীকে আরো শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। আলোচনা সভায় ইউপি সদস্য, শিক্ষক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গ্রামপুলিশ ও সংস্থার সহকর্মীবৃন্দ উপন্থিত ছিলেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD