উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের শিকার বাবুল মিয়া
সাভার প্রতিনিধি
সাভারের পরিচিত সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ছড়ানো ধারাবাহিক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বলে দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা সত্ত্বেও তার নাম ব্যবহার করে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে—এমন অভিযোগ তার।
“রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় দূরে—এখন শুধু ব্যবসা ও পরিবার”বাবুল মিয়া জানান, বহু আগেই তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন।
তার ভাষায়,আমি বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক পদে নেই। অনেক বছর হয়েছে রাজনীতি ছেড়েছি। অথচ হঠাৎ আমাকে নিয়ে পুরনো পরিচয় টেনে এনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, তিনি এখন পুরোপুরি ব্যবসা, পরিবার ও সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়েই ব্যস্ত।
এমন অবস্থায় তার নামকে বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা উদ্দেশ্যমূলক,এমন অভিযোগও করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসা আমার ব্যক্তিগত অধিকার—এতে রাজনীতির রঙ দেওয়া অন্যায়”
বাবুল মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তার ব্যক্তিগত অনুভূতি, যা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতীক নয়।
তিনি বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করি। এতে কারও রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। অনলাইনে এটিকে ঘুরিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, যা আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় প্রতিবেশীরাও বলেন, বাবুল মিয়ার স্বভাব শান্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ; তিনি সাধারণত সামাজিক কাজেই বেশি যুক্ত থাকেন।
পরিবারসহ মানসিক চাপে—‘অনলাইন অপপ্রচার কখনো কখনো বাস্তবের চেয়ে ভয়ংকর’
বাবুল মিয়ার দাবি, সম্প্রতি ফেসবুক ও কিছু অনলাইন পেজে তার বিরুদ্ধে—
মনগড়া গল্প,বিকৃত তথ্য,অতিরঞ্জিত অভিযোগ
ও অসম্পূর্ণ ভিডিও সংযোজন করে প্রচারণা চলছে।
তিনি বলেন,এসব দেখে আমার পরিবার পর্যন্ত আতঙ্কিত। আমার শিশু সন্তান পর্যন্ত বুঝতে পারছে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। অপপ্রচারকারী এসব ভাবছে না যে, একজন পরিবারের মানুষের সম্মান কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি জানান, তিনি এসব অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের মত—‘তিনি এলাকার সমস্যা সমাধানেই বেশি ব্যস্ত’সাভারের বিভিন্ন পেশার মানুষের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র।তাদের ভাষায়— বাবুল মিয়া অন্তর্মুখী,ঝগড়া-বিবাদ এড়াতে চান,রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন, এবং সামাজিক কাজে বেশ সক্রিয়।
একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন—
“বাবুলকে অনেক বছর ধরে চিনি। সে বরাবরই শান্ত ও ভদ্র মানুষ। অনলাইনে তাকে নিয়ে যে গল্প বানানো হচ্ছে, তা বাস্তবের সঙ্গে যায় না।
গণমাধ্যম ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
বাবুল মিয়া অনলাইন এবং প্রচলিত গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,যাচাই না করে অভিযোগ ছড়ানো উচিত নয়। কোনো তথ্য প্রচারের আগে অনুগ্রহ করে সত্যতা দেখে নেবেন। আমার বিরুদ্ধে ছড়ানো বেশিরভাগ তথ্য ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন,আমি আইনের প্রতি আস্থা রাখি। সত্য একদিন প্রকাশ হবেই।
বর্তমানে সাভারের একজন শান্তিপ্রিয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত বাবুল মিয়া অনলাইন অপপ্রচারের জেরে চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছেন।
তার দাবি— তিনি বহু বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে,। মানুষকে সাহায্য করাই তার মূল লক্ষ্য,
এবং তার বিরুদ্ধে অনলাইন অপপ্রচার একটি পরিকল্পিত বিভ্রান্তি।
তিনি সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন—
“শান্তি, সত্য ও মানবতা যেন বিভ্রান্তির চেয়ে বড় হয়।