রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আত্মসাতের অভিযোগ ময়মনসিংহে মোবাইল চুরির চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উন্মোচন, তিনজন গ্রেফতার শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে অগ্নিকাণ্ড ধোবাউড়ায় মুন্সিরহাট বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন সাবেক এমপি আফজাল এইচ খান। বিকেএ মেধাবৃত্তি পেয়েছে জগন্নাথপুরের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ সাদেক ইন্টাঃ একাডেমির তিন শির্ক্ষার্থী হাওরাঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হবে- কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা- আনিসুল হক লালপুরে বউ ও মায়ের ওপর অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় মাহবুবুর রহমানের পক্ষে উঠান বৈঠক খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসে প্রতারক চক্রের অভিনব কায়দায় চাঁদা দাবি

ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ আত্মসাতের অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময়: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৬ সময় দেখুন

ময়মনসিংহে সরকারি ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। চর ঈশ্বরদিয়া মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলায় ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে প্রায় এক কোটি তেইশ লক্ষ চৌদ্দ হাজার পাঁচশত বার টাকা উনষাট্ট পয়সা (৳১,২৩,১৪,৫১২.৫৯) আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৪) ও মোঃ রোকন উদ্দিন (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, এল.এ. কেস নং-০৪/২০২২-২০২৩ মূলে কোতোয়ালী থানাধীন চর ঈশ্বরদিয়া মৌজার বিআরএস খতিয়ান নং-৩২৮৩ এবং দাগ নং-৫৩৬৮ এর ০.২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। উক্ত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চেক নং ১০৬৬৪২৫ এর মাধ্যমে টাকা ইস্যু করা হয় ১নং বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলামের অনুকূলে।

কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, শফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ওয়ারিশ সনদের তথ্য গোপন করে ভূয়া একটি ওয়ারিশ সনদ তৈরি করেন। ওই ভূয়া সনদটি (নং এমসিসি/প্রশা/সাধা/১৮/০১/২০২৩/২৫৩, তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২৩) ব্যবহার করে অন্যের নামে থাকা দলিল নং ৭২৩৫ নিজেদের নামে দেখিয়ে সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।

ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পেরে এককভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানান এবং লিখিতভাবে বিষয়টি তদন্তের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে গত ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে প্রমাণিত হয় যে, অভিযুক্তরা জাল দলিল ও ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন

অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ঘটনাটির ব্যাংক লেনদেনের কাগজপত্র ও সাক্ষী প্রমাণ রয়েছে, যা তদন্তে উপস্থাপন করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD