দেশের সর্বাধিক উষ্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নাটোরের লালপুরে সরকারি সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সরকারি উদ্যোগে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা থমকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত সমাধান দাবিতে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) “গ্রীন ভয়েস”-এর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই গাছ লাগানোর কাজ শুরু না হলে প্রকল্প ব্যর্থ হয়ে যাবে, যা পরিবেশ সুরক্ষায় বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের নতুন খালের পাড়ে সরকারি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী শুষ্ক ও গরম এলাকা হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু খালপাড়ে গাছ লাগানোর জন্য বন বিভাগ সুগার মিল কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্প গ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়ার পর গাছ লাগাতে গেলে ও চুক্তিনামা সম্পূর্ণ করার সময় সুগার মিল কর্তৃপক্ষ চুক্তিনামা করবে না ও গাছ লাগাতে নিষেধ করে বলেন উক্ত খাল আমরা ঘাস লাগানোর জন্য লিজ দিয়েছি । যার ফলে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়— ১. বন বিভাগ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে দ্রুত গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ২. বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনিক নির্দেশনা জারি করতে হবে।
সংগঠনটি আরও জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় লালপুরের মতো অঞ্চলে গাছ লাগানো অত্যন্ত জরুরি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে পরিবেশ সুরক্ষার উদ্যোগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পরিবেশবাদী সংগঠনসহ এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের প্রকল্পে কোনো রকম জটিলতা দূর করে পরিবেশের স্বার্থে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।