লালপুরে দ্রুত বাড়ছে পদ্মার পানি, তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসল
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের প্রায় ৫১৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে এবং বহু বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিফাত করিম জানান, বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী হার্ডিং ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৯০ মিটার। এর ভিত্তিতে বর্তমানে লালপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আগামী দুদিন পানির ধারা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে পদ্মার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, পানির স্রোতে উপজেলার নওশারা সুলতানপুর, চাকলা বিনোদপুর, দিয়াড়শংকরপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর ও মোহরকয়া আংশিকসহ মোট ১৮টি চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে বসতবাড়ির পাশাপাশি নানা ধরনের ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিলমাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মুনতাজ আলী জানান, তার ৩ বিঘা জমির চালকুমড়ার ক্ষেত পুরোপুরি ডুবে গেছে। একইভাবে আরাজি বাকনাই চরের কৃষক আলাল আলী বলেন, তার আখ ও চালকুমড়াসহ প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, লালপুরে এবার ৪৯৫ হেক্টর আখ, ১২ হেক্টর শাকসবজি এবং ১১ হেক্টর কলা সহ মোট ৫১৮ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
বন্যার কারণে গোখাদ্যের তীব্র সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের গবাদিপশু খামারিরা। ইলশামারী চরের খামারি আরিফ মণ্ডল বলেন, “পানি ওঠায় গরু-মহিষের জন্য কোথাও ঘাস নেই, সব ক্ষেত ডুবে গেছে।”
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লাল মোহাম্মদ জানান, “গত কয়েকদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ওয়ার্ডের ফসলি জমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরাঞ্চলের বহু পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।”