মাদারগঞ্জে মহিলা কলেজে এখনো বহাল ২৪-এর ছাত্র আন্দোলন বিরোধী সহকারী অধ্যাপক
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জা কাশেম নুরন্নাহার মহিলা কলেজে বহাল রয়েছেন ছাত্র আন্দোলনবিরোধী হিসেবে পরিচিত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু সায়েম। জানা গেছে, তিনি একই উপজেলার ২নং কড়ইচূড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। এমনকি মাদারগঞ্জে ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির বিপরীতে তিনি লাঠি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারপন্থী স্লোগানে নেতৃত্ব দেন। কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি শুধুমাত্র রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বেই সীমাবদ্ধ থাকেননি; বরং ছাত্রীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে মানসিকভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ আবু সায়েম কলেজে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। একইসাথে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোচিত এমপি মির্জা আজমের ঘনিষ্ঠ এবং ‘গুপ্ত সহকারী’ হিসেবেও পরিচিত বলে দাবি করেছেন কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি নিজেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এর জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কলেজে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তার নিজ এলাকা বিলেতটঙ্গীতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসহায় পরিবারগুলোর জমি দখল ও সম্পদ আত্মসাতের মত অভিযোগেও জড়িত।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জের সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের দাবি, একজন বিতর্কিত ও আন্দোলনবিরোধী ব্যক্তিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে দায়িত্ব দেয়া মানেই ন্যায়বিচার, শিক্ষার পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করা। তাই মোহাম্মদ আবু সায়েমের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।