মধ্যনগরে “জুলাই বিপ্লব” বর্ষপূর্তি উদযাপন
“জুলাই বিপ্লব মানে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং একটি নবজাগরণের সূচনা”—এভাবেই মন্তব্য করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তাতে হাওর অঞ্চলের মধ্যনগর উপজেলা পিছিয়ে থাকবে না। অচিরেই শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে এ অঞ্চলে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে।”
তিনি আরও জানান, মধ্যনগর উপজেলায় প্রশাসনিক ভবনের অনুমোদন ইতোমধ্যে একনেক সভায় পাস হয়েছে এবং শিগগিরই অ্যাসিল্যান্ড অফিসের কার্যক্রম শুরু হবে।
রবিবার সকালে মধ্যনগর বি.পি. স্কুল অ্যান্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে “তারুণ্যের আইডিয়া: গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি” উপলক্ষে আয়োজিত “আমার চোখে জুলাই বিপ্লব” শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা আক্তার, জেলা উপ-সহকারী কমিশনার হাসিবুল হাসান, কলেজ অধ্যক্ষ বিজন কুমার তালুকদার, মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান, ধর্মপাশা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আসয়াদ বিন খলিল, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আয়াতুল্লাহ ইসলামের পিতা হাজী সিরাজুল ইসলাম এবং জুলাই বিপ্লবের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী অপি আহমদ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ আয়াতুল্লাহ ইসলামের স্মরণে গাছের চারা রোপণ করেন জেলা প্রশাসক এবং শহীদের পিতা। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও একাডেমিক ভবন ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।