শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের চতুর্দশ বর্ষপূর্তির আড্ডায় স্মৃতিচারণ ছাতকে থানা পুলিশের অভিযানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার  মাগুরা সদর উপজেলার আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মাগুরার বিডি ক্লিন একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রা সংগঠন মানিকছড়িতে সেনা অভিযানে মদ ও ইয়াবা উদ্ধার; আটক-১ ইসলামী ছাত্রসেনা মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথে সোনাপুর চ্যারেটি গ্রুপের কৃতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংবর্ধনা প্রদান ভৈরব মাতালেন অপুলেন্ট ইন্টারন্যাশলএর ঔধধ খেয়ে রোগ ভালো হয় ক্রয়কৃত টাকা ফেরত পাওয়া যায় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সোনার পাড়া এলাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ৩১ দফা বাস্তবায়নের ধর্মপাশায় বিশাল জন সভা

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ
  • আপডেটের সময়: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ৯৭ সময় দেখুন
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ আমিষের যোগানদাতা; প্রাণিজ আমিষ হিসেবে মাছ বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আজ (শনিবার ২১ জুন) সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ময়মনসিংহ কর্তৃক আয়োজিত “বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৪-২৫) পর্যালোচনা ও গবেষণা পরিকল্পনা (২০২৫-২৬) প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মাছ বিশেষ করে ছোটমাছ কিভাবে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যায় তার জন্য বিএফআরআইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগ, বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরকে অভিন্ন লক্ষ্যে আন্তঃসমন্বয় করে কাজ করতে হবে; তবেই বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।

বিজ্ঞানীদের জাতির মূল্যবান সম্পদ উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, তারা যেন তাদের মেধা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে, গবেষণায় আরও মনোনিবেশ করতে পারে—সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে, যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে এবং যার উপকারিতা জনগণ সরাসরি বুঝতে পারবে। এসব প্রযুক্তি যদি মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারিত করা যায়, তাহলে দেশে মাছের সংকট থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন, কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক হাওর এলাকার মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই কমিটিগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে হাওরাঞ্চলে কীটনাশক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে; ফলে জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় ও হুমকির মুখে থাকা মাছ শনাক্তে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) প্রজাতিগুলোকে লাল (বিপন্ন), হলুদ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও সাধারণ (নিরাপদ) শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মাছের সংকট নিরসনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিএফআরআই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর তা সফল হলে তা দেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে একটি বড় মাইলফলক হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, “গবেষণাকে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএফআরআই এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জরুরি।”

বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে ময়মনসিংহ বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্য খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন উর রশিদ গবেষণা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD