নবীনগরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে ঘিরে ছড়ানো হচ্ছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, এবার মুখ খুললেন ভুক্তভোগীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি অজ্ঞাত উৎস থেকে ছড়ানো হয়েছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগপত্র। এতে তার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনা হলেও, কে বা কারা এসব অভিযোগ করেছেন—তা এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেছে। অভিযোগপত্রগুলো জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিএনপির মহাসচিব এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, তবে কোথাও ভুয়া প্রেরকের নাম, আবার কোথাও নাম-স্বাক্ষরহীন অবস্থায় এসব অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে নিহত রফিকুল ইসলামের একটি মামলায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে মিলে ফারুক আহমেদ নবীনগরের একাধিক ব্যবসায়ী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামি করেন। পরে মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া এফিডেভিট করিয়ে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তি বর্তমানে এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে এসব অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে, তারা সবাই অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে একযোগে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নবীনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রতন দাস বলেন, “অভিযোগে আমার নাম উল্লেখ করা হলেও, বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে কেউ কোনো মামলায় ফাঁসায়নি, কিংবা টাকাও নেয়নি।”
প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালু বলেন, “আমার নামে কেউ এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে, তা আমার সম্মানহানিকর। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।”
আবুল কালাম আজাদ, ফজর আলী সামাদ এই অভিযোগটিকে “সম্পূর্ণ সাজানো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত অপপ্রচার। আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর অপচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু মহল এই বেনামি অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমি একজন দলনিষ্ঠ কর্মী, এসব ষড়যন্ত্রে বিচলিত হবো না।”
স্থানীয়দের একাংশের মতে, পরিচয়বিহীন এমন অভিযোগ ছড়িয়ে একজন রাজনৈতিক নেতার সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যা তদন্ত সাপেক্ষে উদঘাটন করা প্রয়োজন।