জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শিববাড়ীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
শ্রীকৃষ্ণের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে
—— স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ
সিলেট রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ বলেছেন, পৃথিবীতে যখনই অধর্মের বিস্তার ঘটে, তখনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয় এবং তিনি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। তাই শ্রীকৃষ্ণের কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সকলকে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি ও প্রেমকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিলে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও মঙ্গল প্রতিষ্ঠা সম্ভব। একইসাথে অন্যায়, অবিচার ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধেও আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীস্থ শ্রীশ্রী সর্ব্বানন্দ ভৈরব গ্রীবা মহাপীঠরক্ষী (শিবমন্দির) প্রাঙ্গণে পার্থ সারথী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫১তম শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উপযাপন পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী অপন ও সহ-সভাপতি উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ্র। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক পিনাক কর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুল, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় পুরকায়স্থ, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাস, জেলা যুগ্ম সম্পাদক শৈলেন কর, মোগলাবাজার থানা সভাপতি মনমোহন দেবনাথ, দক্ষিণ সুরমা থানা সভাপতি দীপঙ্কর দাস, মোগলাবাজার থানা সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাশ, দক্ষিণ সুরমা থানা সম্পাদক নিখিল মালাকারসহ রাজকুমার পাল রাজু, অর্পণ দাস, রিপন বৈদ্য, যশোদা রঞ্জন দাস যশু, রঞ্জন চন্দ্র পাল, প্রদীপ দে, সুজুক চন্দ্র, সুবোধ চন্দ্র, রিপন পাল, রুপক কর, ঝলক দেব, সঞ্জিব দত্ত, সুমিত দে প্রমুখ।
উৎসবের প্রথম দিনে (শুক্রবার) শোভাযাত্রার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় পদাবলী কীর্তন, গীতা প্রতিযোগিতা, মহাপ্রসাদ বিতরণ ও ভক্তিমূলক গানের প্রতিযোগিতা। আগামীকাল শনিবার ধর্মসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও পার্থ সারথী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী উৎসবের সমাপ্তি হবে।